২০১৩-র ধ্বংসলীলার (destruction) ভয়াবহ ছবি এখনও স্পষ্ট। সেই প্রবল জলের তোড়। টানা বৃষ্টি (Heavy Rain) আর ধসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে গোটা কেদারনাথ (Kedarnath)। প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় মন্দির লাগোয়া সবকিছু। মন্দাকিনীর (Mandakini) রোষে সবকিছু ভেসে গেলেও অক্ষত ছিল কেদারনাথ মন্দির। কমপক্ষে ৪০০ জনের মৃত্যু (Death) হয় কেবল কেদারনাথে। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছিল ভারী বৃষ্টিপাত। তার জেরে কমলা সতর্কতাও জারি করেছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার। এবার কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হল কেদারনাথ যাত্রা।
উল্লেখ্য, করোনার জন্য দু'বছর বন্ধ ছিল চারধাম যাত্রা (Kedarnath yatra)। গত ৩ মে পর্যটকদের জন্য শুরু করা হয় যাত্রা। তবে ভারী বৃষ্টির কারণে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে ভক্তদের। তাঁরা যেন পাহাড়ে না ওঠে, সে বিষয়ে বারবার মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া রাস্তায় রাস্তায় নেমেছে পুলিস (Police)। ভক্তদের হোটেলে ফেরত যাওয়ার কথাও বলছে প্রশাসন। গুপ্তকাশী থেকে আসা পাঁচ হাজার পুণ্যার্থীকে আটকে দেওয়া হয়েছে। হেলিকপ্টার পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে পাহাড়ের কোলে ছোট্ট শহর কেদারনাথ। ১১ হাজার ৭৫৯ ফুট উঁচু উপত্যকায় রয়েছে কেদারনাথ মন্দির (Kedarnath Temple)। প্রতি বছর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বন্ধ হয়ে যায় এই মন্দির। ছ'মাস পর খোলা হয় মন্দির। জানা গিয়েছে, রবিবার তুষারপাতও হয় কেদারনাথে। সোমবার তাপমাত্রা কমতে থাকায় তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিল সরকার।