গৃহবধূকে নিজের বাপের বাড়ি যেতে গেলেও স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি সকলের অনুমতি নিতে হয়। সবাইকে জানিয়ে তারপরই যেতে পারেন তিনি। আর যদি কোনও কারণে না জানিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান, তাহলে আর রক্ষে নেই। শুরু হয়ে যায় সংসারে অশান্তি। এমনও দেখা গিয়েছে, এই ছোট্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে জল এতদূর গড়িয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটে যায়। সম্প্রতি এমনই এক মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানিয়েছেন, স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোককে না বলে বাপের বাড়ি যাওয়া কোনও গর্হিত অপরাধ নয়। এবং নিষ্ঠুরতার পর্যায়েও তা পড়ে না।
২০১৩ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মোহিত প্রীত কাপুর ও সুমিত কাপুর। ২০১৭ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করতে গিয়ে স্বামী মোহিত জানিয়েছিলেন, ২০১৫ সালে জানুয়ারিতে বিনা কারণে তাঁর স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। তাঁকে না জানিয়েই স্ত্রী পরিবারের লোকের সঙ্গে চলে যান। ২০১৭-এর জানুয়ারিতেও একই ঘটনা ঘটান। তাঁর স্ত্রী শ্বশুর-শাশুড়ি এবং বাড়ির সকলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। বাড়ির কোনও কাজ করতে চান না বলেও অভিযোগ জানান ওই ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী পাল্টা অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালে তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিলেন স্বামী।
সেই মামলায় পরিবার আদালত স্বামীর পক্ষেই রায় দিয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই এলাহাবাদ হাইকোর্টের দারস্থ হন ওই মহিলা। এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সুনীতা আগরওয়াল ও বিচারপতি কৃষ্ণা পহালের ডিভিশন বেঞ্চে। রায়ে বলা হয়, স্বামীকে না জানিয়ে বাপের বাড়ি যাওয়া কোনও রকম অপরাধ নয়। উল্টে ওই ব্যক্তিকে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।