অগ্নিপথ ইস্যুতে অগ্নিগর্ভ দেশের বিভিন্ন অংশ। নয় নয় করে এখনও পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ৯ থেকে ১১ টি ট্রেন। রাস্তা অবরোধ, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, ট্রেন অবরোধ থেকে শুরু করে পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়া কিছুই বাদ যাচ্ছে না। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিস লাঠিচার্জ করেছে, কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুঁড়েছে, এমনকী তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে পুলিসের গুলিতে এক যুবকের মৃত্যুও হয়েছে।
প্রশাসন মনে করছে, একশ্রেণির জনতা হিংসার বাতাবরণ তৈরি করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। শুরু থেকেই গণ্ডগোলের শীর্ষে রয়েছে বিহার। তাই উত্তেজনা প্রশমনে নেট ব্যবস্থায় লাগাম টানল প্রশাসন। বিহারের ৩৮ টি জেলার মধ্যে ১৮ টি জেলাতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ট্যুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং মাধ্যমগুলি। লক্ষ্য একটাই, গুজব বা উত্তেজনা ছড়ানোয় লাগাম পরানো। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মূলত যে সব জায়গায় ট্রেন এবং বাস জ্বালানোর মতো ঘটনা ঘটেছে, সেইসব জায়গাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পয়গম্বর ইস্যুতে বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোল ছড়িয়েছিল হাওড়া জেলার একটি অংশে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানেও ইন্টারনেটে লাগাম পরিয়েছিল সরকার। পরে মুর্শিদাবাদ জেলার কিছু অংশেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। বাংলা এখন ওই ইস্যুতে অনেকটাই শান্ত। বিহারে এবার ওই দাওয়াই কাজে আসে কি না, তা সময়ই বলবে।