দিন দিন যেন সঙ্কট ক্রমশ ঘনিয়ে আসছে। আশঙ্কার ছায়া সন্তানদের বাবা-মায়েদের চোখে-মুখে। মিলছে না শিশুখাদ্য। ছোট ছোট শিশুরা খাদ্যাভাবের মধ্যে। সে কম দামি শপ হোক কিংবা বড় বড় শপিংমল, সব জায়গাতেই অমিল শিশুখাদ্য। বেবিফুডের সঙ্কট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। আর এই নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন শিশুদের অভিভাবকরা। টেক্সাসের বিভিন্ন ফুড স্টোর থেকে ড্রাগ স্টোরের বেবি ফুডের শেলফ একেবারেই খালি। ফলে বিকল্প কোন উপায়ে বাচ্চাদের পুষ্টি দেওয়া সম্ভব, তা নিয়েই চিন্তিত অভিভাবকরা।
শিশুদের অভিভাবকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, তাঁদের শিশুরা অসুস্থ, এমনটা নয়। তবে সন্তানরা বড্ড বেশি সংবেদশীল। আর তাই ওদের বেড়ে উঠতে সমস্যা হচ্ছিল। তখন চিকিৎসকের পরামর্শে বেবিফুড দেওয়া শুরু করেন তাঁরা। তখন থেকে বাচ্চার মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এবং শিশুরা দ্রুত পুষ্টি পেত শুরু করেছে। কিন্তু এখন সমস্ত ধরনের বেবিফুড অমিল হওয়ার কারণে বেজায় চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।
টেক্সাসের সান অ্যান্টোনিও, হিউস্টন, অস্টিন, সিয়াটেল, ডালাস জুড়ে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তৈরি হয়েছে এই বেবি ফর্মুলার অভাব। তবে এর কারণ কী, তা এখনও জানা যায়নি। এক শহরের মানুষ অন্য শহরেও গিয়েছেন শিশুখাদ্যের খোঁজে, তবে সর্বত্রই চিত্রটা একই ছিল।
বেবি ফর্মূলা সমস্যা নিয়ে এই মুহূর্তে জেরবার টেক্সাসের পরিবারগুলি। কোনও রকমে বিকল্প খাবার খাইয়ে বাচ্চাদের পেট ভরালেও পুষ্টির ঘাটতি মিটছে না তাতে। যদিও বা কোনও ব্যক্তির কাছে খুব কম পরিমাণ বেবিফুড পাওয়াও যায়, তার আকাশছোঁয়া দাম দিতে হচ্ছে নিজেদের পকেট থেকে। কারণ, স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে না বলে সেই দাম ইনসিওরেন্স কোম্পানিও দিচ্ছে না। ফলে সেটাও পরিবারগুলির কাছে আর্থিক সমস্যা হয়ে উঠছে। সুতরাং, কতদিনে সবকিছু স্বাভাবিক হবে সেই আশায় দিন গুনছেন অবিভাবকরা।