Share this link via
Or copy link
আগামী ২৫ বছরের মধ্যে দেশের উন্নয়নের (Development) ধারা কেমন হবে, তার পথ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ওই সময়ের আগেই দেশে পাঁচটি বড় প্রকল্প সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সরকারি ভাষায় এই সময়কালকে বলা হচ্ছে 'অমৃত কাল'।
কিন্তু বিগত দিনগুলিতে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য কী পরিবর্তন এসেছে? বিশেষত, কোনও একটি দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যেখানে তার বিদেশি মুদ্রার (Foreign Currency) নিরিখে দেশের টাকার (Rupee) মূল্যের উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল, সেখানে সেই টাকার দাম কতটা পড়েছে (Devaluation) এবং কীভাবে পড়েছে?
স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি সারা দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে উত্সাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে। এর মাঝে দেশে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। ১৯৬০ এর সংকটের পর ইন্দো-পাকিস্তান এবং ইন্দো-চিন সম্পর্কের সঙ্গে আবর্তিত হয়েছে আর্থিক মন্দার বিষয়টি।
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে, স্বাধীনতার সময়ই ডলারের নিরিখে দেশীয় মুদ্রার মূল্য ছিল মাত্র ৪ টাকা। কিন্তু রফতানি সূত্রে দেনার বোঝা বেড়ে যেতে থাকায় বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে এসে ঠেকেছিল। ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন সরকার টাকার অবমূল্যায়ন ঘটাতে বাধ্য হয়েছিল। ডলারের নিরিখে ৪ টাকা বেড়ে হয়েছিল সাড়ে ৭ টাকা। ১৯৯১ সালে পরিস্থিতি আরও প্রতিকূল জায়গায় চলে যায়। সরকারের কাছে তখন বিদেশি ঋণ বা দেনা শোধ করা বড়সড় সমস্যার জায়গায় পৌঁছে যায়। ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ফের দুদফায় টাকার অবমূল্যায়ন ঘটাতে বাধ্য হয়। একবার ৯ শতাংশ, একবার ১১ শতাংশ। ফলে এরপর ডলারের নিরিখে টাকার মূল্য কমে দাঁড়ায় ২৬ এ।
বর্তমানে সেই মূল্য অনেকেই জানেন ঘোরাফেরা করছে ৭৯ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। অর্থাত্, গত ৭৫ বছরে টাকার মূল্য কমেছে ৭৫ টাকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাকা এতটা দুর্বল হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণই হল ট্রেড ডেফিসিট, যা এখন পৌঁছে গিয়েছে সর্বোচ্চস্তরে, ৩১ বিলিয়ন ডলারে। অথচ স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় এই অঙ্কটাই ছিল শূন্য।