বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানায় টানা তৃতীয় দিন বিক্ষোভ চলার পর দক্ষিণের রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়ল তার আঁচ। তেলেঙ্গানায় অগ্নিপথ বিরোধী বিক্ষোভে মৃত্যু হল ১ যুবকের। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সামরিক নিয়োগ নীতির বিরুদ্ধে শুক্রবার সেকেন্দ্রাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে বিক্ষোভরত যুবকদের উপর পুলিস গুলি চালালে ওই যুবক নিহত হয় এবং এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনের আহত হবার খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতদের স্থানীয় গান্ধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্ষোভ বড় আকার ধারণ করায় তেলেঙ্গানা পুলিস সেকেন্দ্রাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি চালায়। বিক্ষোভকারীরা রেলপথে বিক্ষোভ করে এবং বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীরা ইতিমধ্যে তিনটি ট্রেনে আগুন দিয়েছে বলে খবর। এদিন সকালে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে এবং রেললাইনে অবস্থান করায় পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তেজনাপূর্ণ হতে থাকে। বিক্ষোভকারীরা পুলিসের উপর ঢিল ছুঁড়তে শুরু করে। পুলিসের পক্ষ থেকে রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হয়। আরপিএফ, সরকারি রেলওয়ে পুলিস ও সিটি পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে বিক্ষোভকারীরা স্টেশন, স্টল, ডিসপ্লে বোর্ড এবং রেলের অন্যান্য সম্পত্তিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। রেলওয়ে বিভাগের পার্সেলের জিনিসপত্র ট্র্যাকের উপর ফেলে দিয়ে তাতেও আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস, রাজকোট এক্সপ্রেস এবং অজন্তা এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ৭১টি ট্রেন, ৬৫ টি হায়দ্রাবাদ মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম এবং ছয়টি এক্সপ্রেস এখনও পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনের মধ্য দিয়ে যাতে ট্রেন না যায়, সেজন্য রেলপথ পরিবর্তন করা হয়েছে।
তেলেঙ্গানার সমস্ত রেলস্টেশনে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হায়দরাবাদের নামপল্লী, কাচেগুদা এবং অন্যান্য রেলস্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাজিপেট এবং জানগাঁও রেলওয়ে স্টেশনেও বাহিনী পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর।