ভোটের (Election) আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা। নানা প্রকল্প। আর ভোট ফুরোলেই সব ওয়াদা শেষ। এরকম প্রায়শই দেখা যায় বিভিন্ন রাজ্যে। এবার সেরকমই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। প্রবল দুশ্চিন্তার মুখে আমজনতা। খবর রটেছে, বাতিল করা হচ্ছে শ'য়ে শ'য়ে রেশন কার্ড (Cancel Ration)। যেখানে ভোটের আগে বিনামূল্যে রেশনের কথা ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার (PM Narendra Modi), এমনকি উত্তরপ্রদেশের জন্য আলাদা করে রেশনে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেসব নাকি এখন অতীত হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, শনিবার একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে। শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীরা সুর চড়াতে থাকেন।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লখনউয়ের (Lucknow ) কাছে বারাবাঁকিতে এক যুবক রেশন কার্ড (Ration Card) বাতিলের কথা ঘোষণা করছেন। ‘অপাত্র' কেউ যেন রেশনের চাল-গম না তোলেন, তা নিয়ে সতর্ক করছেন। আর সেই নির্দেশ অমান্য করা হলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এমনকি স্থানীয় বাজারমূল্যে দাম নেওয়া হবে, সেই কথাও ঘোষণা করা হয়। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
কিন্তু কে বা কারা ‘অপাত্র’, তা ঘোষণা থেকে স্পষ্ট নয়। কোনও লিস্ট বা না করেই ঢালাও কার্ড বাতিলের ঘোষণার অর্থ কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে কেউ কেউ বলছেন, যাঁদের শহরে ফ্ল্যাট বা ঘর-বাড়ি রয়েছে, বংশপরম্পরায় ভারতীয় নন, গাড়ি বা ট্রাক্টর রয়েছে, সরকারি চাকরিতে কর্মরত, তাঁরা এই অপাত্রের তালিকায় রয়েছেন। যদিও সরকারি কোনও প্রক্রিয়াই এখনও চালু হয়নি।
ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতি যে তৈরি হতে চলেছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাংলার খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষও। তিনি বলেন, এটা কোনও সরকারের নীতি হতে পারে না। বাংলায় ছয় কোটি দুই লক্ষ গ্রাহক এনএফএসএ’র (NFS) আওতায় রেশন পান। বাকি চার কোটি মানুষকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিনামূল্যে রেশন দেন। এটা স্পষ্ট যে, উত্তরপ্রদেশ সরকার নির্বাচনের মুখে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা তারা রাখল না।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যে কোনও গ্রাহক মারা গেলে বা জোড়া রেশন কার্ড হয়ে থাকলে সেইসব কার্ডকে শুধু নিষ্ক্রিয় করা হয়। সকলের রেশন বাতিল করার মধ্যে কোনও যুক্তি নেই। এখানেই বাংলার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের ফারাক।