রাজ্যে আপাতত বর্ষার খরা চললে কী হবে, দেশের অন্যান্য অংশের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুসী বায়ুর প্রভাবে দেশজুড়ে আগামী কয়েকদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতীয় মৌসম ভবন। বিশেষত মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক এবং কেরলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, গুজরাত এবং দিল্লির কয়েকটি অংশেও বৃষ্টির সম্বাবনা রয়েছে।
গত কদিন ধরেই মহারাষ্ট্রের অবস্থা সঙ্গীন। ভাসছে বহু এলাকা। তারপরেও নিস্তার মেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং মুম্বইতে আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত কোঙ্কন এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওইসব এলাকায় প্রবল বর্ষনের আশঙ্কা রয়েছে।
কর্ণাটকের কয়েকটি জেলাতেও জারি লাল সতর্কতা। কারণ, সেখানেও ইতিমধ্যেই বহু এলাকা বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে। কেরলেরও কয়েকটি এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কারণ, আগামী পাঁচদিন সেখানে ভারী বৃষ্টি, এমনকী বজ্রবিদ্যুত্ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, অসমের বন্যা পরিস্থিতির আগের তুলনায় উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এখনও ১৪ লক্ষ মানুষ বন্যাদুর্গত। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮০। একটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি হওয়ার পর স্কুল, কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। গোয়ার পরিস্থিতিও ভালো নয়। সেখানেও শনিবার প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিমলার পরিস্থিতি গত কদিন ধরেই খুবই খারাপ। ধসে ইতিমধ্যেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হিমাচল প্রদেশের কয়েকটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। সেটা চলবে আগামী ৪-৫ দিন।