বন্যা (Flood) পরিস্থিতিতে অসমে (Assam) মৃতের (Death) সংখ্যা আরও বাড়ল। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে একটি শিশুসহ আরও দু'জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ১৫টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৫.৭৫ লক্ষ মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে, গত কয়েকদিনের তুলনায় অসমে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি (Flood হয়েছে বলে খবর।
অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির (এএসডিএমএ) (ASDMA) দৈনিক বন্যা রিপোর্ট অনুযায়ী, নগাঁও (Nagaon) জেলার কামপুর (Kampur) ও রাহায় (Raha) একজন করে মারা গিয়েছেন। এ নিয়ে এবারের বন্যা ও ভূমিধসে (landslide) প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এএসডিএমএ জানিয়েছে, কাছাড়, ডিমা হাসাও, হাইলাকান্দি, হোজাই, কার্বি আংলং পশ্চিম, মরিগাঁও ও নগাঁও জেলায় ৫ লাখ ৬১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নগাঁও ৩.৬৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এর পরে কাছাড় প্রায় ১.৫ লক্ষ এবং মরিগাঁওতে ৪১,০ এরও বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছে।
এএসডিএমএ জানিয়েছে, বর্তমানে অসম জুড়ে ৯৫৬টি গ্রাম জলের নিচে রয়েছে এবং ৪৭,১৩৯.১২ হেক্টর ফসলি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে ছয়টি জেলায় ৩৬৫টি ত্রাণ শিবির ও বিতরণ কেন্দ্র পরিচালনা করছে, যেখানে ১৩ হাজার ৯৮৮ শিশুসহ ৬৬ হাজার ৮৩৬ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
এ পর্যন্ত ১,২৪৩.৬৫ কুইন্টাল চাল, ডাল ও লবণ। ৫,০৭৫.১১ লিটার সরিষার তেল, ৩০০ কুইন্টাল গবাদি পশুর খাদ্য এবং অন্যান্য বন্যা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
ধুবরি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, নলবাড়ি, শিবসাগর, দক্ষিণ সালমারা, তিনসুকিয়া এবং উদালগুড়ি জেলা থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে।
কাছাড়, উদালগুড়ি, ধুবরি, করিমগঞ্জ, নগাঁও, নলবাড়ি, দিমা হাসাও, গোয়ালপাড়া ও হোজাইতে বন্যাতে বেড়িবাঁধ, সড়ক, সেতু ও অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে এএসডিএমএ।