অসমের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। রাজ্যের ৩৩টি জেলা জলের তলায়। অসম প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যা বিধ্বস্ত মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ৪২ লাখ ২৮ হাজার। রবিবার রাতে মধ্য অসমের নগাঁও জেলায় বন্যার জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন তিন পুলিসকর্মী । কামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতেরা কামপুর থানার কনেস্টবল রাজীব বরদোলুই ও অফিসার-ইন-চার্জ সমুতজল কাকাতি।
সোমবার ভোরে মৃত পুলিস অফিসার ও কনস্টবলের দেহ উদ্ধার করে এনডিআরএফ। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যার জলের বিপুল তোড়ে প্রথমে ভেসে যান কনস্টেবল রাজীব বরদোলুই। সহকর্মী রাজীব বিপদে পড়ায় জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন ওসি সমুতজল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। এমনকী নিজেও জলের চাপে ভেসে যান। নওগাঁর পুলিস সুপার লীনা বলেন, সকালে অসম পুলিসের দুই সাহসী কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের অবদানের কথা মনে রাখা হবে।”
উল্লেখ্য, বন্যায় সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে বজলি, বক্সা, বরপেটা, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মাজুলি, নগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগরের। এ পর্যন্ত বন্যা ও ধসে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১। প্রায় ৬৬,৪৫৫ হেক্টর চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। এরপরেও নতুন করে কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন শিশু-সহ আরও ন’জনের মৃত্যু হয়েছে ।
অসমের বাজালি, বকসা, বিশ্বনাথ, বনগাইগাঁও, কাছার, দারং, ধেমাজি ৩৩টি জেলার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগের। জায়গায় জায়গায় ধসে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার কাজে আধা সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকল বাহিনী। ত্রাণবিলি করা হচ্ছে দুর্গতদের। ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে ৭৪৪ টি ক্যাম্প। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মানুষ।