Share this link via
Or copy link
মধ্যরাতের টানাপোড়েনে শেষে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) তিন দিনের ইডি হেফাজত মিলেছে। ১০ মার্চ পর্যন্ত দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকবেন বঙ্গ রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডল। বুধবার দুপুর থেকেই তাঁকে একপ্রস্থ জেরা শুরু হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনে করা হয় মেডিক্যাল পরীক্ষা। তাঁকে জেরার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। আধ ঘণ্টা করে মক্কেলের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন আইনজীবী। জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে অনুব্রতর এত সম্পত্তির উৎস কী? জানতে চাওয়া হতে পারে তৃণমূল নেতার (TMC Leader) থেকে। পাশাপাশি আরও একাধিক প্রশ্নবাণে অনুব্রতকে বিদ্ধ করবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ED)।
১) গরু পাচারকারীদের সঙ্গে কোন চুক্তির উপর ভিত্তি করে টাকা নিয়েছেন?
২) তদন্তে দেখা গিয়েছে কালো টাকার পরিমাণ কয়েকশো কোটি টাকা। যা আপনার কাছে এসেছে, পাচারকারীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য। সেই টাকাগুলো গেলো কোথায়?
৩) আপনার মেয়ের নামে যে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে, সেই সম্পত্তি কেনার টাকার উৎস সম্পর্ক আপনিই নাকি জানেন। আপনার মেয়ের বক্তব্য তাই। আপনি জানান, মেয়ের সম্পত্তির পিছনে টাকার উৎস কি? সেগুলো কি গরু পাচারের কালো টাকা?
৪) আপনার হিসাবরক্ষক মণীশ কুঠুরি জানিয়েছেন, আপনি যা বলতেন উনি তাই করতেন। কালো টাকা সাদা করতে বেআইনি পথ অবলম্বন করেছেন?
৫) আপনি একজন রাজনৈতিক নেতা, আপনার এত সম্পত্তি হলো কি করে? সেই সম্পত্তির পিছনে গরু পাচারের কালো টাকা রয়েছে বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। আপনার বক্তব্য কি?
এদিকে, বুধবারও অনুব্রত মণ্ডলকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। ইডি দফতর থেকে অনুব্রতকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অপরদিকে, মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল নেতাকে দিল্লি এনে ইডির সদর দফতরে তোলা হয়েছিল। ভার্চুয়ালি তাঁকে হাজির করা হলেও বিচারক ইডি কর্তাদের নির্দেশ দেন সশরীরে অনুব্রতকে হাজির করতে হবে। সেই মোতাবেক মধ্যরাতে তৃণমূল নেতাকে নিয়ে বিচারকের বাড়ি ছোটেন কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্তারা। ১৪ দিনের পূর্ণ মেয়াদের পুলিস হেফাজত দাবি করলেও, ১০ মার্চ পর্যন্ত অনুব্রতর পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেছেন বিচারক।