আকাশ থেকে ধুপধাপ করে নীচে পড়ে যাচ্ছে পাখিরা। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে পশুরা। ভয়ঙ্কর কাণ্ড গুজরাতের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু এমন বিপজ্জনক কাণ্ডের কারণ কী? আসলে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো। এর প্রভাব পডে়ছে পশু-পাখিদের উপরও। গুজরাতের বিভিন্ন প্রান্তে জলের অভাব দেখা দিয়েছে। জলের উৎসগুলি জলশূণ্য হয়ে পড়ায় মৃত্যু হচ্ছে পাখিদের। ফলে, জলন্ত তাপপ্রবাহের শিকার হচ্ছে গোটা প্রাণীজগৎ।
পাখিদের প্রাণ অত্যন্ত সূক্ষ্ম। তাই প্রচণ্ড গরম তারা সহ্য করতে পারে না। গরমকালে আকাশে অনেক উচ্চতায় উড়তে গেলে ক্লান্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। ফলে অনেক সময় ডানায় আঘাত লাগে ওদের। এমনকি ট্রমায় চলে যায় ওরা। এমন ঘটছে এই গরমেও। আর এই সমস্ত নিরীহ পাখিগুলোর পাশে দাঁড়ালেন আমেদাবাদের অলাভজনক জীবদয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত পশু হাসপাতালের ডাক্তাররা। এই ট্রাস্টের এক চিকিৎসক চন্দ্রেশ রাজাবী জানান, তাঁরাই এই পাখিগুলোকে নিয়ে এসে সুস্থ করার চেষ্টা করছেন।
গ্রীষ্মকালে অনেক পাখিই জলের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই পাখিদের জন্য তাঁরা প্রতিটি বড়িতে গিয়ে সকলকে জল রাখার জন্য অনুরোধ করছেন। যাতে ঘুরেফিরে জল খেয়ে যেতে পারে। জলকষ্টে আর যেন মৃত্যু না হয় ওদের। চলতি বছরের মে মাস জুড়ে আমাদাবাদের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে রাজধানীতেও। গোটা মাস জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। শুধু পশু-পাখিই নয়, প্রচণ্ড তাপে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষও। এই অবস্থার জন্য একমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন পরিবেশবিদরা। এখন মরসুমের বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেশের মানুষ।