২০ এপ্রিল, ২০২৪

Gujarat: হাসপাতালের আলমারিতে মেয়ের মৃতদেহ, বিছানার নিচে মায়ের, জোড়া মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-12-22 11:38:15   Share:   

হাসপাতালের মধ্যে মা ও মেয়ের রহস্য মৃত্যু। বেসরকারি হাসপাতালের একটি ঘরের আলমারির মধ্যে মেলে মেয়ের দেহ। আর ওই হাসপাতালের আরেকটি রুমে বেডের নিচে পড়ে রয়েছে মহিলার মায়ের দেহ (Dead Body)। দুর্গন্ধ বের হওয়ায় সকলের নজরে আসে ঘটনাটি। পুলিস সূত্রে খবর, নিহতদের নাম ভারতী ওয়ালা (৩০) ও তাঁর মা চম্পা। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের (Gujarat) আহমেদাবাদের (Ahmedabad) মণিনগর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

ভারতীর ভাই জানান, সকালে দাঁতের চিকিৎসার জন্য দু'জনেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন।  তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা। পুলিস জানিয়েছে, আহমেদাবাদের কাগদাপীঠ থানার আওতাধীন ভূলাভাই পার্কের কাছে অবস্থিত যে হাসপাতালে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল সেখানে ওই দুই মহিলার কোনও অপারেশন বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল না। তাহলে কীভাবে এই অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিাস।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কাগদাপীঠ থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিস তদন্ত শুরু করে। মহিলার দেহ উদ্ধারের পর মায়ের দেহ খোঁজ করে। হাসপাতালের অন্য একটি ঘরের খাটের নিচ থেকে পাওয়া যায় পচাগলা মায়ের দেহ। মনে করা হচ্ছে হাসপাতালে ওই দুজনকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে হাসপাতালের মনসুখ নামে এক কর্মীকে আটক করেছে পুলিস। এছাড়াও আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিসের অনুমান, অন্য কারোর মদতে মা-মেয়েকে খুন করা হয়েছে।

তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতী ও তাঁর মা হাসপাতালে প্রবেশের পর এক ঘণ্টার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। পুলিস আরও জানিয়েছে, মায়ের শরীরে শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে। ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করে। যদিও এফএসএল বলেছে যে, ওই দুই মহিলাকে কিছু দিয়ে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। পুলিসের সন্দেহ, অ্যানেস্থেশিয়ার অতিরিক্ত মাত্রায় প্রয়োগ করে তাঁদের মারা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর  সঠিক কারণ নিশ্চিত করা যাবে।

সহকারী পুলিস কমিশনার মিলাপ প্যাটেল বলেছেন যে, তাঁরা হাসপাতালের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন থেকে চারজনকে আটক করেছেন। যার মধ্যে একজন মনসুখ নামে তাঁদের পরিচিত রয়েছেন। এসিপি বলেন, "মনসুখ ভারতীর স্বামীর বন্ধু ছিলেন। ভারতী তাঁকে ভালো করেই চিনতেন।"

এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চিকিৎসা করাতে এসে দু'জন রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হল, অথচ হাসপাতালের কাছে কোনও খবরই নেই, এ কথা মানতে নারাজ পরিবারের সদস্যরা।


Follow us on :