তামিলনাড়ুর চিদম্বরম বাসস্ট্যান্ড এলাকা। ব্যস্ততা অন্যান্যদিনের মতোই। যে যার কাজে বেরিয়েছেন। অন্যের দিকে তাকানোর সময়ও নেই। পাশেই বাজার। সেখানেও কেনাকাটি চলছে স্বাভাবিক ছন্দেই। কিন্তু রাস্তার ধার বরাবর ছাউনি দেওয়া স্টলের মাঝের এক চিলতে গলিতে যে তখন কী কাণ্ড ঘটে চলেছে, তা অনেকেই প্রথমে বুঝতে পারেননি। টনক নড়তেই শুরু হয়ে গেল হইচই। এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল, মাথার চুলে হাত বোলাতে বোলাতে বেরিয়ে আসছে এক যুবক। দেখে বোঝাই যাচ্ছে, কিছুটা হতাশাই রয়েছে চোখেমুখে। তারপরই দেখা গেল, গণহারে চলছে চুল কাটা। পাশে দাঁড়িয়ে কয়েকজন পুলিসকর্মী। রাস্তায় পুলিস যেভাবে গাড়ি ধরে, সেভাবেই তারা একদল ছাত্রকে ধরে পরীক্ষা চালাচ্ছে। মাথার চুলের দৈর্ঘ মাপা হচ্ছে। বেশি হলেই ভিতরে চালান। এক এক করে ছেলেকে ধরে আনছে। তারপর চেয়ারে বসে চলছে চুল কাটাই।
কেউ কেউ হাল্কা প্রতিবাদ জানিয়ে বলার চেষ্টা করছে, সে নাকি সবেমাত্র দোকানে গিয়ে চুল কেটেছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। চুল বড় মনে হলেই সটান চেয়ারে। তারপর ঘ্যাঁচ...ঘ্যাঁচ।
পুলিসের এই নীতিপাঠের ভিডিও ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। আর তারপরই কমেন্টের বন্যা। অবশ্য পুলিসের পাশে যেমন অনেকে দাঁড়িয়েছেন, অনেকে আবার এটাকে বাড়াবাড়িও আখ্যা দিয়েছেন। ছাত্রদের বক্তব্য, তাদের জোর করে চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। কোনও কথা শোনা হয়নি।
বিতর্ক যাই থাক না কেন, অনেকেই এটাকে বেশ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন। কেউ কেউ ব্যস্ত ছিলেন এমন দুর্লভ দৃশ্যকে মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করতে।