পাটের দামের উর্ধ্বসীমা উঠে যাচ্ছে। ফলে অর্জুন সিং-এর বড় জয় হল। কাঁচা পাটের দামের উর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্র। কাঁচা পাটের দামের উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া নিয়ে আপত্তি করে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। অর্জুনের সেই বিপ্লবে সম্ভবত কাজ হতে চলেছে। কার্যত নিজের দলের বিরুদ্ধেই যেন বিদ্রোহ করেছিলেন অর্জুন। সূত্রের খবর, আগামিকাল থেকে এই মূল্য প্রত্যাহার কার্যকর হবে। এ বিষয়ে সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
এই নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে জুট বোর্ড কর্তৃপক্ষ। নয়া চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে এ নিয়ে। এদিকে বাংলার পাটশিল্পের দুরাবস্থা চরমে। বিষয়টি নিয়ে গত এক মাস ধরে নিজের দল যারা কেন্দ্রে রয়েছে, তার বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তোপ দেগেছিলেন বারবার। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। এরপর জুট বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
তিনি হুঁশিয়ারি দেন, পশ্চিমবঙ্গের পাট চাষিদের কথা যদি না ভাবা হয়, তাহলে আরও বড় আন্দোলনের রাস্তায় যেতে পারেন তিনি। ৯ মের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। তারপর বস্ত্রমন্ত্রীর ডাকে দিল্লিতেও গিয়েছিলেন তিনি। ওই বৈঠকে জুট শিল্পের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে অর্জুন বলেছিলেন, ললিপপে ভুলছি না।
অর্জুনের বিরোধিতা নিয়ে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের পাল্টা মতও ছিল। তাঁদের বক্তব্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিজে থেকেই পাটের দামের উর্ধ্বসীমা কুইন্টাল প্রতি ৬০০০ টাকা স্থির করে দিয়েছিল। তা জুট কমিশনারের বেঁধে দেওয়া দামের থেকেও কম। কই তখন তো আপত্তি করেননি অর্জুন সিং। বস্ত্র মন্ত্রকের একটি সূত্রের এও বক্তব্য, প্রতি কুইন্টাল পাট উৎপাদনের খরচ ২৮৩২ টাকা। পাটের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ৪৫০০ টাকা। সেই তুলনায় ৫০ শতাংশ মুনাফা রেখে পাটের দামের উর্ধ্বসীমা স্থির করা হয়েছিল।
তবে এই সব তর্ক যাই থাকুক, কেন্দ্র পাটের দামের উর্ধ্বসীমা তুলে দিলে তা অর্জুনের জয় বলেই বিবেচিত হবে।