অসমের বন্যা পরিস্থিতিতে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে আরও ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৭৩। উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে বন্যা কবলিত লক্ষাধিক মানুষ। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ত্রাণশিবিরে ঠাঁই দুর্গতদের। সূত্রের খবর, কাছাড় জেলায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নগাঁওয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। বরপেটায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। করিমগঞ্জ, কোকরাঝাড় ও লখিমপুর জেলায় মৃতের সংখ্যা এক জন করে।
একাধিক জেলায় চাষের জমি, বসতভিটে জলের তলায়। বিপুল পরিমাণে শস্যহানির আশঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ চাষিদের। বিপর্যস্ত ৩০টি জেলার ২৪৫০টি গ্রাম। ৬৩ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমি এখনও জলমগ্ন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ২৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ দুর্ভোগের শিকার। তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ ৫৬৩টি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র নদ ও কপিলি, দিসাং ও বুড়িদিহং নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
শিলচরও বিপর্যস্ত। পর্যাপ্ত পানীয় জল এবং ত্রাণের অভাব দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে বন্যার জল পান করতে হচ্ছে বন্যা কবলিতদের। তবে, প্রশাসন তত্পর। প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানান, ড্রোনের মাধ্যমে কিছু এলাকায় ত্রাণ এবং পানীয় জল পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বেশকিছু সরু রাস্তায় ত্রাণসামগ্রী পাঠাতে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।