Share this link via
Or copy link
সমাজ এখনও কতটা পিছিয়ে তার প্রমাণ আরও একবার পাওয়া গেল! মেয়ে জন্মানো নিয়ে এখনও নাক সিটকানো রয়েছে অনেক পরিবারে। তবে শিক্ষিত পরিবার, শিক্ষিত ছেলের কাছে এ ধরণের মানসিকতা কেউই আশা করেন না। চাকরি সূত্রে দু'জনেই থাকেন পুনেতে (Pune)। দু'জন্যেই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার (Computer Engineer)। সদ্য মা-বাবা হয়েছেন। কিন্তু কন্যা সন্তান হওয়ায় ঘোর আপত্তি জানায় স্বামী। এমনকি পিতৃত্ব অস্বীকার করেন তিনি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীয়ের নিত্য অশান্তি লেগেই ছিল। ঝামেলা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় রান্নাঘর থেকে সব্জি কাটার ছুরি দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে (Wife Killed by Husband) দেন ইঞ্জিনিয়ার স্বামী। পরে নিজেই পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত। পুনের এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
২০২০-র ২০ নভেম্বর নানদেদে বিয়ে হয় জ্যোতি-রাজেন্দ্রর। গত ২৭ জুন তাঁদের ঘর আলো করে আসে ছোট্ট একটি কন্যাসন্তান। সেখান থেকেই সূত্রপাত ঝগড়ার। মেয়ে হওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না রাজেন্দ্র। প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া। সোমবার রাতে তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। রাগের মাথায় রাজেন্দ্র রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে স্ত্রীয়ের গলায় কোপ বসিয়ে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় জ্যোতির। মাথা ঠাণ্ডা হতেই রাজেন্দ্রর হুঁশ ফেরে। তিনি বুঝতে পারেন ভুল। এরপর বাড়িওয়ালার কাছে সব খুলে বলেন এবং আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। খবর যায় থানায়। পুলিস এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় রাজেন্দ্রকে।
উল্লেখ্য, জ্যোতি নিজেও ছিলেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়র। একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করতেন। কিন্তু সন্তানের জন্মের জন্য ম্যাটারনিটি লিভে ছিলেন। কয়েক মাস আগেই আবার কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিন দিন আগে ইস্তফা দেন সেই চাকরিতে।