দাদার (Elder Brother) সঙ্গে শত্রুতা! আর তার জের খুন হতে হল এক শিশুকে (Younger Brother)। প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা (Murder)। তারপরে থার্মোকলের বাক্সে দেহ ভরে ফেলে দেওয়া হল রাস্তার আবর্জনার মধ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বারাণসীতে (Varanasi)। ইতিমধ্যে পুলিস অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছে। জানা গিয়েছে অভিযুক্তর নাম শহিদ জামাল (২০)।
পুলিস সূত্রে খবর, বারাণসীর কাজী সাদুল্লাহপুরের একটি বন্ধ সিনেমা হলের কাছে রাস্তায় ময়লা ফেলার জায়গা থেকে ৪ বছরের ওই শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাচক্রে এই শিশুর দাদার সঙ্গে শত্রুতা অভিযুক্তর। আশপাশের এলাকা, বিশেষ করে জৈতপুরার তাঁত বাজারের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হয়েছে। আর তাতে দেখা যায়, দোশিপুরার বাসিন্দা শহিদ জামাল, মৃত শিশু আবু ইসমাইলকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন। পরে পুলিস জামালকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাথমিক তদন্তে তিনি স্বীকার করেছেন, নিহত আবু ইসমাইলকে প্রথমে অপহরণ ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন তিনি।
এদিকে ক্ষুব্ধ শিশুর পরিবারের সদস্যরা চৌকাঘাট পুলিস চৌকি ঘেরাও করে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। জানা গিয়েছে, দোশিপুরার বাসিন্দা তাঁতি মহম্মদ জুনায়েদের দুই ছেলে ছিল। ছোট ছেলে সাড়ে চার বছরের আবু ইসমাইল শনিবার গভীর রাত থেকে নিখোঁজ ছিল। জুনায়েদ বলেছিলেন, আবু চিপস কিনতে বাইরে গিয়েছিল। কিন্তু ফিরে আসেনি দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এরপর জৈতপুরা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করা হয়। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করে। বারাণসী পুলিশ কমিশনারেটের কাশী জোনের ডিসিপি আরএস গৌতম জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় জামাল বলেছিলেন যে, তিনি মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। তিনি শিশুকে মুদি দোকানে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। পরে মৃতদেহ একটি থার্মোকলের বাক্সে ভরে রাখে। সকালে থার্মোকলের বাক্সটা নিয়ে সকলের নজর এড়িয়ে আবর্জনার স্তূপের কাছে রাখেন। ডিসিপি আরও জানিয়েছেন, মৃত শিশুর বড় ভাইয়ের সঙ্গে অভিযুক্তদের কিছু বিরোধ ছিল। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।