Share this link via
Or copy link
পরিবারের তরফ থেকে ঠিক করা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তরুণীকে কঠোর শাস্তি দিল পরিবার। শ্বাসরুদ্ধ করে খুন (Honour killing) করা হয়েছে ওই তরুণীকে। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহটি জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। নারকীয় এই ঘটনা মহারাষ্ট্রের (Maharashtra Incident) নান্দেদ জেলার পিম্প্রি মহীপাল গ্রামে। মুম্বই থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে থাকতেন ওই মৃতা। তরুণী হোমিওপ্যাথি মেডিসিনের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। পরিবারের ঠিক করা বিয়ে ভেঙে (Marriage Issue) দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে যায় পরিবার। তাঁর হবু বরকে তরুণী জানান, 'তাঁর অন্য প্রেমিক রয়েছে।' গত ২২ শে জানুয়রি বিয়ে ভেঙে যাওয়ার আক্রোশেই তাঁকে খুন করে বাবা, দাদা-সহ অন্য আত্মীয়রা।
পুলিস সূত্রে খবর, গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তরুণীর। পরিবারের তরফ থেকে সেই সম্পর্কে কোনওরকম সায় ছিল না। জোর করে তরুণীর বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল তাঁর পরিবার। এই খুনের মূল অভিযুক্ত তরুণীর বাবা, দাদা, কাকা এবং তুতো ভাইরা। ২২ তারিখ রাতে তরুণীকে মাঠে নিয়ে যায় পরিবার। এরপর তাঁকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করা হয় তাঁকে।
প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতদেহটিকে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তারপর দেহের ছাই নদীর জলে ফেলে দেন তারা। এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের ৫ জন পুরুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঠিক কি কারণে এই খুন, কেনই বা মেনে নেননি তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক, কেন জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল তরুণীকে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।