Share this link via
Or copy link
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Life imprisonment) সকলেই শুনেছেন। কিন্তু যাবজ্জীবন ‘খাঁচাদণ্ড’ কোনওদিন শুনেছেন? একাধিক মানুষ খুনের (Murder)অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি তার প্রজাতির অন্যদের সঙ্গেও প্রায়ই লেগে যায় অশান্তি, মারামারি। এই আক্রমণাত্মক স্বভাবের জেরে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে প্রজাতির অন্যরা।
কে সে? এতক্ষণ ধরে যার কথা বলা হল, সে হল টি-১০৪। রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যানের বাঘ টি-১০৪। এই উগ্র মানসিকতাকে বাগে আনতে না পেরে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জঙ্গলের চিফ ওয়ার্ডেন। শাস্তিস্বরূপ বাঘকে আজীবন 'খাঁচাবন্দি' রাখার কথা জানান চিফ। একই সঙ্গে তাকে তার পরিচিত এলাকা থেকে সরিয়ে অন্যত্র নির্বাসন দেওয়ার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কাছে।
বন মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ২০১৯ সালে টি-১০৪কে বন্দি করা হয়। তার আগেই সে পর্যটক-সহ তিনজনকে হত্যা করেছিল। বন্দি করার পরও সে শান্ত হয়নি। রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যানে থাকা বাঘেদের উপর চড়াও হত সে। অনেককে এলাকা থেকে সরিয়েও দিয়েছে। এরপরই রণথম্ভোর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাঘটিকে। তাকে আপাতত কম পর্যটক অধ্যূষিত মুকুন্দ্র হিলস ব্যঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের দারা পাহাড়ি এলাকায় খাচাবন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, টি-১০৪-কে খাঁচাবন্দি করে যাবজ্জীবনের নির্বাসনে পাঠানো হলে সে হবে রাজ্যের দ্বিতীয় বাঘ। যাকে তার স্বভাবের জন্য অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আজীবন 'খাঁচাদণ্ড' দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।