তামিলনাড়ুর সালেম জেলার একটি স্কুলে বিক্ষোভ এবং স্কুল ও পুলিসের গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় রবিবার ব্যাপক হইচই পড়ে গিয়েছিল। এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল এলাকা। মুখ্যমন্ত্রী ওই ঘটনায় তদন্ত শেষে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকী তিনি ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্য পুলিসের ডিজিপি এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করল হাইকোর্ট। এদিন হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে এবং আবেদনকারী অর্থাত মৃত ছাত্রীর বাবা সেখানে থাকতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ওই ছাত্রী সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছিলেন, তাঁকে এক শিক্ষিকা নির্যাতন চালিয়েছেন এবং সেই কারণেই তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রথম রিপোর্টে শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন এবং রক্তক্ষরণের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন স্কুলের কেমিস্ট্রির শিক্ষক হরিপ্রিয়া এবং অঙ্কের শিক্ষক কৃতিকাকে পুলিস গ্রেফতার করেছে। এর আগে প্রিন্সিপাল, সেক্রেটারি সহ তিনজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই এলাকার মুখ্য শিক্ষা অফিসারকে বিশদ রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর।
এদিকে বিক্ষোভ চলতে থাকায় ওই এলাকায় বাড়তি পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।