টাকার দামে রেকর্ড পতন। মঙ্গলবার ভারতীয় অর্থনীতির ইতিহাসে এই প্রথম এক ডলারের দাম পৌঁছেছে ৮০ টাকায়। অর্থাৎ ১ ডলারের বিনিময়ে আপনাকে ৮০ টাকার একটু বেশিই দিতে হবে। এর ফলে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় অর্থনীতির নীতিনির্ধারকরা সোনা আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়ে মুদ্রার পতন আটকানোর চিন্তাভাবনা করছেন। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য আমেরিকার মুদ্রাটি বেড়েছে ১৬ পয়সা, থেমেছে ৭৯.৯৮ টাকায়।
উল্লেখ্য, অতিমারীর প্রভাব পড়েছে বিশ্বের সব দেশের সব ক্ষেত্রে। করোনা কাঁটায় বিশ্ববাজারে আর্থিক মন্দা। মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। তারপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দোসর হয়েছে। এরই প্রভাবে আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে আকাশছোঁয়া। তা রুখতে আগ্রাসী পদক্ষেপ মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের। আর এর অনেকটাই প্রভাব পড়ছে ভারতের বাজার ও টাকার দামের উপর।
সোমবার সংসদেও বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দা ও বিদেশি বিনিয়োগের অভাবকেই টাকার মূল্যের পতনের কারণ বলে দায়ী করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। গত ৮ বছরে ভারতীয় টাকার দাম পড়েছে ২৫ শতাংশ। ২০১৪ সালে ভারতীয় মুদ্রায় এক ডলারের দাম যা ছিল, ২০২২ সালে সেই দাম বেড়েছে অন্তত ১৬ টাকা ৮ পয়সা। সোমবার বাদল অধিবেশনের শুরুতেই লোকসভায় লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দিল কেন্দ্র সরকার।
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর এক ডলারের দাম ছিল ৬৩ টাকা ৩৩ পয়সা। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯ টাকা ৭৯ পয়সা। ২০১৯ সালের শেষদিনে দেখা যায় ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রার দাম ৭০-র গণ্ডি ছাড়ায়। এবার মঙ্গলবার ৮০ টাকা ছুঁল ডলারের দাম। ক্রমাগত ডলারের সাপেক্ষে টাকার পতন নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন অর্থনীতিবিদরা।