Share this link via
Or copy link
সন্তানকে বাঁচাতে মা নিজের প্রাণেরও তোয়াক্কা করেন না। সন্তানের বিপদ বুঝলে সেখানে না ভেবেই ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন একমাত্র মা-ই। আর সে কথাই ফের প্রমাণ করে দিলেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) উমরিয়া জেলার এই মহিলা। ১৫ মাসের শিশুসন্তানকে বাঁচাতে একাই লড়লেন বাঘের সঙ্গে। এই নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে বান্ধবগড় অভয়ারণ্যে। ২২ বছরের মা এবং শিশু দুজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করানো হয়। যদিও এখন বিপদমুক্ত ১৫ মাসের সন্তান বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
গুরুতর আহত তরুণীর নাম অর্চনা চৌধুরি (Archana Chowdhury)। হাসপাতালে শুয়ে অর্চনা জানিয়েছেন, তাঁর ১০ মাসের শিশুপুত্রকে (Child) রবিবার পাশে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। ভোরের দিকে হঠাৎ বাড়িতে ঢুকে পড়ে বাঘ। তাঁর ছেলেকে মুখে করে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় শব্দে ঘুম ভেঙে যায় অর্চনার। সে তীব্র চিৎকার করে বাঘের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আগপিছু না ভেবেই বাঘের পিঠে, মুখে মারতে থাকেন। সেসময়, ছেলেকে ছেড়ে দিয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ।
চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। লাঠিসোটা নিয়ে ছুটে আসতে দেখেই বাঘ ভয়ে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। অর্চনার স্বামী ভোলাপ্রসাদ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর কোমরে-হাতে এবং পিঠে আঘাত লেগেছে। আর তাঁদের সন্তানের ঘাড়ে এবং মাথায় আঘাত লেগেছে।
বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভের অধিকর্তা বিএস অ্যানেগিরি জানিয়েছেন, বাঘটি অনেকদিন ধরে ওই এলাকায় খাবার শিকার করতে এলেও আগে আগে কখনও মানুষকে আক্রমণ করেনি। ঘটনার দিন একটি গবাদি পশুকে শিকার করতে গিয়ে ব্যর্থ হয় বাঘটি। তাতে ক্ষুণ্ণ হয়েই সহসা এই আক্রমণ বলে মনে করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় উমারিয়া জেলা হাসপাতাল থেকে অর্চনাকে জব্বলপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর নাকের হাড় ভেঙে গিয়েছে। পিঠে এবং পেটে গুরুতর আঘাত রয়েছে।