Share this link via
Or copy link
নৃশংস, ভয়ানক এই শব্দগুলিও কম এই ঘটনার ক্ষেত্রে। একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে দশম শ্রেণির ছাত্রের প্রেম (Love Relation), সেখান থেকে তৈরি শারীরিক সম্পর্ক। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা (Pregnent) হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। এরপর স্কুলের রেস্টরুমে মধ্যেই জন্ম দেন সন্তানের। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, জন্মানোর পরই নবজাতককে(baby) ফেলে আসেন স্কুল ঝোপে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (TamilNadu) কাড্ডালোর জেলার এক বালিকা হাইস্কুলের। ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর পরিবারের লোক এবং বন্ধুদের থেকে এ কথা লুকিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঝোপের মধ্যে ওই সদ্যজাতকে দেখতে পান স্কুলেরই এক ছাত্রী। এরপর স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষককে সে কথা জানান। এরপরই তড়িঘড়ি স্কুল কর্তৃপক্ষ খবর দেন পুলিসে।
পুলিস এসে ঘটনার তদন্ত করতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। প্রথমে উদ্ধার করে নবজাতকের মৃতদেহ। পুলিসের সন্দেহ যায় স্কুলের ছাত্রীদের উপরই। সমস্ত ছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। তখনই একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী স্বীকার করে নেয় সন্তান জন্মের কথা।
জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁর প্রেমিক একটি বেসরকারি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র। এর পরই ওই ছাত্রকে আটক করে পুলিস। তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে হাজির করা হয়েছিল। এবং পর্যবেক্ষণ হোমে রাখা হয়েছে তাকে। ওই ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য কামারাজ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারা এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল তামিলনাড়ুর গ্রামের ওই সরকারি স্কুলে।