এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘটনাটি কলকাতার মানিকতলা থানার অন্তর্গত ২০/১ কলিমুদ্দিন লেনের। পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছিলেন না সেই সময়। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই আত্মঘাতী হন ওই যুবক, প্রাথমিকভাবে এমনটাই জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। সেই সময় রূপক ধাড়া নামে ওই যুবক কাজ থেকে ফিরে বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু আচমকাই ফোন বন্ধ করে দেন রূপক। ফোনে না পেয়ে ছুটে আসেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। দেখেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। দরজা ভেঙে তাঁরা দেখেন, আত্মঘাতী হয়েছে রূপক। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
মৃতের বাবা চন্ডিচরণ ধারা জানান, তিনি একজন ফেরিওয়ালা। সংসারের অভাব অনটন মেটাতে তাঁর স্ত্রীও একটি কারখানায় কাজ করেন। শুধু তাই নয়, ছেলে নিজেও কাজ করত। বছর ১৬ যখন তখন ছেলে ভালোবেসে বিয়ে করে। বর্তমানে একটি পুত্র সন্তানও আছে তাঁদের। তবে এখন কোনও সমস্যা ছিল না তাঁদের পরিবারে। তিনি আরও জানান, এর আগেও ২ বার আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিল তাঁর ছেলে কিন্তু তা তখন সফল হয়নি। মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়ে আনতে পেরেছিলেন তাঁরা। তবে এবার আর বাঁচানো গেলনা তাঁকে। ঠিক কি কারণে ছেলে আত্মঘাতী হয়েছে তা সঠিক জানেন না বাবাও। তবে পরিবারের সন্দেহ খুন করা হয়েছে রূপককে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মানিকতলা থানার পুলিস। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই আত্মহত্যা, নাকি কেউ তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে? গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে মানিকতলা থানার পুলিস।