বুধবার ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী। পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করলেন একদিকে যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অন্যদিকে বাবুঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি বছর এই দিনটি বাম আমলে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতেন একমাত্র প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তী। বিভিন্ন এলাকায় পালিত হয় স্বামীজীর জন্মদিন। অনেকেই উত্তর কলকাতার সিমলায় উপস্থিত হন শ্রদ্ধা জানাতে। আজ মন্ত্রী ববি হাকিম উপস্থিত ছিলেন এবং স্বামীজির আবক্ষ মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু শ্রদ্ধা জানানোর পর শুভেন্দুকে মিডিয়ার তরফে প্রশ্ন করা হয়, গঙ্গাসাগরে তিনি বাদ হওয়াতে কী মনোভাব? তিনি উত্তর দেন, বিরোধী দলনেতাকে সরকার ভয় পায়। তাই নাকি সাগর কমিটি থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এর জন্য তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন না। এখানেই প্রশ্ন সাংবাদিকদের, বিবেকানন্দের জন্মদিনে তাঁর বাটিকার সামনে এমন বেয়াক্কেলে প্রশ্ন করার দরকার কী ছিল এবং শুভেন্দু একজন দায়িত্ববান নেতা হয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন কেন? আসলে আমাদের রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের নৈতিকতা ভুলে যায়। একইভাবে আজও ববির রাজনীতি নিয়ে কথা বলার দরকার ছিল না বলে অনেকেরই অভিমত।
আমাদের দেশের সমস্যা হচ্ছে, একই দিনে দুই ব্যক্তিত্বের স্মরণীয় দিন থাকলে একজন উপেক্ষিত থাকেন। যেমন গান্ধীজির জন্মদিনেই লালবাহাদুর শাস্ত্রীরও জন্মদিবস। কিন্তু উপেক্ষিত থাকেন শাস্ত্রীজি। একইভাবে ইন্দিরার জন্মদিনে প্রয়াত সুরকার সলিল চৌধুরীর জন্মদিন, অথচ মনে রাখে কজন। তেমনই আজ বিপ্লবী সূর্য সেনের প্রয়াণ দিবস। ১৯৩৭ সালের আজকের দিনে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁর ফাঁসি হয়। আমরা ইতিহাসের পাতায় পড়েছি, কী বীরত্বে লড়াই করে চট্টগ্রাম পুলিশ স্টেশন থেকে বন্দুক লুট করেছিলেন সূর্য সেন ও তাঁর সঙ্গীরা। এই অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং আজকের দিনে তাঁর ফাঁসি হয়। রাজনীতির নেতারা এটা জানেন কি?