সোমবার বিধানসভায় নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মেদিনীপুরে চাকরি কে দিয়েছিল? পুরুলিয়ার চাকরি মেদিনীপুরে গেল কি করে? মন্দারমনির ছেলেদের চাকরি চলে গেলে কি হবে দাদামণি? তবে পালটা দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, ২০১৩ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন। তখন থেকে নন্দীগ্রামের জন্য একটি ব্ল্যাকবোর্ডও চাননি। পার্থের কাছে কখনও চাকরি পাইয়ে দেওয়া বা বদলির আবেদন করেননি। শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, মমতা যদি অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন বলে জানান শুভেন্দু। তাই তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ যদি প্রমাণ হয়, তাহলে রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন তিনি।
সোমবার উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভার অধিবেশন। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীনই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জানান, বিজেপির কেউ কেউ বলছে ১৭ হাজার চাকরি যাবে। ওরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেস করছে। সোমবার বিধানসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি একটা লোকেরও চাকরি খাই নি, খাবও না।
সোমবার বিধানসভায় নাম না-করে শুভেন্দুকে ‘দাদামণি’ বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, বিরোধী দলনেতাই ছিলেন মূলত মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের লক্ষ্য। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার আগে থেকেই শুভেন্দুর নাম সে ভাবে প্রকাশ্যে মমতার মুখে শোনা যায়নি। অন্য দিকে, শুভেন্দুও মমতাকে সম্বোধন করতে কখনও ‘মাননীয়া’, কখনও ‘পিসিমণি’ বলেছেন। তারপর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে দাদামণি-তরজা তুঙ্গে।
কিন্তু শুভেন্দুকে আচমকা ‘দাদামণি’ বলে সম্বোধন করলেন কেন মমতা? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।