নিত্যপ্রয়োজনীয় পাউরুটির দামের কোনও নিশ্চয়তা নেই। অভিযোগ উঠেছে, পাউরুটির দাম বাড়ানো হচ্ছে। বেশ কিছু কোম্পানি নাকি নিজেদের ইচ্ছামতো দাম ইতিমধ্যেই বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এরকম একটি নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সমস্যায় আমজনতা। কারণ, করোনাকালে এমনিতেই মানুষের রোজগার তলানিতে এসে ঠেকেছে। বাজারে সবজি এবং মুদিখানার সামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া। পাউরুটি এমন একটা জিনিস, যা ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলেই প্রাতঃরাশ বা মূল খাবার হিসাবেও খেয়ে থাকেন। এর দাম কেন আচমকা বাড়িয়ে দেওয়া হল বা হচ্ছে, তার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা মেলেনি। ফলে মানুষ দিশাহারা।
করোনার মতো অস্বাভাবিক এবং সমস্যাসংকুল সময়ে পাউরুটির মতো জিনিসের দাম বাড়ানো পুরোপুরি অনৈতিক কাজ বলেই ভুক্তভোগীরা মনে করেন। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, কে কী বলছেন।
যদিও বেকারি মালিক সংগঠনের নেতা তথা তৃণমূল নেতা ইদ্রিশ আলি দাম বৃদ্ধির পক্ষেই সায় দিয়েছেন। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, আগামি ৩০ জানুয়ারি রবিবার থেকে দাম বাড়ছে। কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির জন্য় তাঁরা দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন, এমনটাই যুক্তি তাঁর।
অন্যদিকে, বেকারি মালিকদের অন্য সংগঠনের নেতা আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাঁদের পাউরুটির কোনও মূল্যবৃদ্ধি হয়নি। ২০০ গ্রাম ১২ টাকা এবং ৪০০ গ্রাম ২৪ টাকাই আছে। তাঁর মতে, কলকাতার একশ্রেণির নীতিহীন বেকারি মালিক এই কোভিডকালে জনগণকে ঠকানোর নেশায় মত্ত।