হরিদেবপুর-কাণ্ডে (Haridevpur) সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতেরা হলেন স্বপন মিত্র, ভৈরব বোস, বাবলু দলুই এবং অজিত দাস। রবিবার চার জনকেই আলিপুর আদালতে তোলা হবে। পুলিস সূত্রে খবর, এদের মধ্যে দু'জন বাইকে এসে রেখে যায় অস্ত্র ও বোমা (Bomb and Arms in Auto)। সেই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অটোর ভিতর থেকে ১৯টি তাজা বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে একটি সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পান তদন্তকারীরা। সেই ফুটেজে দুই বাইক আরোহীকে চিহ্নিত করে পুলিস। ১৯ এপ্রিল ভোররাত প্রায় ৩টে ৩৫ মিনিট নাগাদ এই দুই যুবক এসে পরিত্যক্ত সেই অটোর মধ্যে ১৯টি বোমা, ২টি গুলি ও ১টি বন্দুক রাখে। এরপরেই সেই বাইকের উৎস সন্ধান করে পুলিশ চার জনকে অ্যারেস্ট করেছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পারে, অটোর প্রথম মালিক স্বপন মিত্র। তিনি অটোর মাসিক কিস্তি শোধ দিতে না দিতে পারায় বিশু নামে এক ব্যক্তি ফিনান্স কোম্পানির মাধ্যমে স্বপনের থেকে অটোটি কেনে। বিশুর ভালো নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। এই বিশ্বজিৎ বিশ্বাস এবং ফিনান্স কোম্পানিকে ফাঁসানোর জন্য স্বপন মিত্র বোমা, গুলি এবং বন্দুক অটোতে রাখে। এখন পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে এত বোমা-পিস্তল, গুলি স্বপন কোথা থেকে পেল? এই চক্রের পিছনে আর কে কে জড়িত?
পুলিস জানতে পেরেছে, অভিযুক্তরাই অটোয় বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র রাখার খবর প্রথম দিয়েছিল পুলিশকে। ২২ তারিখ রাতে ২ অভিযুক্ত বাইকে এসে প্রথমে দেখে অটোতে রাখা অস্ত্র এবং বোমা ঠিকঠাক রাখা আছে কিনা। তারপর তাঁরাই সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকদের খবর দেন অটোতে গাঁজা জাতীয় কিছু রাখা আছে বলে। হরিদেবপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমা এবং বন্দুক দেখতে পায়।