একে করোনায় রক্ষে নেই, তারওপর নিম্নচাপ দোসর। শীতের বাজারে সব সবজিরই আগুন দাম।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে গোটা রাজ্যজুড়েই চলছে আংশিক লকডাউন। কমেছে ট্রেন-বাসের সংখ্যাও। তাতেই যা কোপ পড়ার পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে। অতি প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়ে এখন মধ্যবিত্তের হয়রানির শেষ নেই। তারই সাথে শীতের অকালবর্ষণ। অকালের এই বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আলুর চাষ। ফলে আলুর দাম আকাশছোঁয়া হওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছেন আলু চাষি থেকে ব্যবসায়ী সকলেই। শুধু আলুই নয়,তার সাথে বাড়তে পারে শীতকালীন সবজির দামও।
এমনিতেই করোনার কারণে অগ্নিমূল্য বাজারে কেনাবেচা কম হওয়ায় কপালে ভাঁজ ব্যবসায়ীদের। এরপর বৃষ্টির কারণে দামটা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, সেটাই আপাতত দেখার।
শনিবারের বিভিন্ন সবজির বাজারদর ছিল এইরকম। আলু-পাল্লা অর্থাৎ প্রতি পাঁচ কেজি ১৯টাকা, পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৪৫ টাকা, ফুলকপি পিস ২০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মটরশুঁটি কেজি প্রতি ৩৫টাকা।
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাস্কহীন থাকার হিড়িকও। কেউ বলছেন,"এই তো টয়লেটে যাচ্ছি বলে মাস্কটা পরিনি", কেউবা বলছেন,"এক পরিচিতর সাথে দেখা হয়ে গেল, তাই কথা বলতে মাস্ক নামিয়েছি"। আবার কেউ কেউ সামনে ক্যামেরা দেখলেই সচেতন, গলার মাস্ক সটান মুখে। এমনই ছবি ধরা পড়ল কলকাতার কোলে মার্কেটে।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা হু হু করে বেড়েই চলেছে। চিন্তায় স্বাস্থ্যকর্মী থেকে প্রসাসন সকলেই। অথচ বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে লাগামহীনভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এমন কাণ্ডকারখানায় অতিষ্ঠ রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। বাজারের দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীর স্পষ্ট দাবি, শুধু পুলিশকে ভয় পেয়ে মাস্ক পরে নিলেই সমস্যা মিটবে না। এর জন্য সবার আগে দরকার সচেতনতা।
সাধারণ ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা হল, অকালবৃষ্টি বা করোনার মতো অজুহাত খাড়া করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফসলের দাম পান না, অথচ ফোড়েরা মাঝখান থেকে ফায়দা লুটে বেরিয়ে যায়। তাঁদের তাই দাবি, এবার যেন এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে না হয়।