দিল্লি থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার সোজা দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দির কেন্দ্রিক একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি সাম্প্রতিক একাধিক ইস্যুতে সরব ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'অর্থবল, পেশিবল, কুৎসাবল মানবিকতার জন্ম দেয় না। আর মানবিকতা যাঁদের মস্তিষ্কে নেই, তাকে আমি মরুভূমি বলি। আসুন আমরা একটু রামকৃষ্ণ পড়ি, পড়ে জানি। উলটো-পাল্টা বললেই হবে? তপোবনে মুনি-ঋষিরা চার বেদ, বেদান্ত, এসবে কী লেখা। রামকৃষ্ণ দেব বলেছিলেন টাকা মাটি, মাটি টাকা। এর অর্থ যারা অতিরিক্ত লোভী তাঁদের জন্য এই মন্তব্য। আজ আছি, কাল নেই। এসব ভাবতে হয়। তাই কেন ঝগড়া, হানাহানি, খুনোখুনি করব।'
এভাবেই এদিন তিনি ঘুরিয়ে বিজেপিকে বার্তা দেন। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, 'দাঙ্গা করে কিছু লোভী নেতা। যাঁদের মাথা আবর্জনায় ভর্তি।' তিনি উচ্চমাধ্যমিকে অসফল পরীক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনকে সমালোচনার সুরে বিঁধেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'যখন তখন বসে পড়ছে, বলছে পাশ করাতে হবে। এ আবার কী। আমি সমালোচনা করছি না। কিন্তু আমাদের সময় এসব হতো না।'
এদিকে, দক্ষিণেশ্বর মন্দির মানেই একটা ইতিহাস, এক অন্য আবেগ। এই পুণ্যভূমিতেই ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেব পরমহংস, মা সারদা, স্বামী বিবেকানন্দ, রানি রাসমণির পদচারণা ছিল। সেই দক্ষিণেশ্বর আজও টানে আপামর ভক্তকে। এখানেই আজ আলো-ধ্বনিতে শুরু হল অতীত যাপন।
কথা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে ফিরেই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন তিনি। লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শোয়ের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যা নামতেই মন্দির চত্বরে চোখের সামনে হাজির হবেন রানি রাসমণি, শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র বসু ও মাইকেল মধুসূদন দত্তের মতো ঐতিহাসিক চরিত্রেরা। আলোর খেলায় তাঁদের দেখার পাশাপাশি শোনা যাবে কথাও। মন্দিরের ১৬৭ তম প্রতিষ্ঠাবর্ষের শুভারম্ভে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির অছি পরিষদের উদ্যোগে ও কেএমডিএর মাধ্যমে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।