শ্যামপুকুর থানার অন্তর্গত ১১ নম্বর গ্যালিফ স্ট্রিটের একটি আবাসন। মঙ্গলবার রাত তিনটে পঞ্চাশ নাগাদ এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে পৌঁছন কলকাতা পুলিসের উচ্চপদস্থ অফিসাররা। এছাড়া ঘটনাস্থলে আনা হয় ডগ স্কোয়াড। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে কলকাতা পুলিস।
উল্লেখ্য, ওই ব্যক্তির নাম মানু ধনী। যদিও ঠিকানা জানা যায়নি। কোথায় থাকেন, কীভাবে এই আবাসনের গলিতে এলেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জয়েন্ট সিপি, অ্যাডিশনাল সিপি, ক্রাইম ব্রাঞ্চ, ডিসি নর্থ এবং ফরেনসিক টিম। জানা গেছে, ওই আবাসনে কাজ করতেন এই ব্যক্তি। মৃত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪০ থেকে ৪২ বছর।
পুলিশ সূত্রে খবর, মানুর মাথার ডান দিকে এবং গলায় ফ্র্যাকচারের দাগ রয়েছে। তাঁর কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে। যেখানে ওড়িয়া ভাষায় লেখা রয়েছে। মাথার আঘাত এবং তাঁর গলায় কীভাবে দাগ এল, এই সুসাইটড নোট আদৌ মানু ধনীর লেখা কি না, সেটা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরজিকর হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সুইসাইড নোটে যা লেখা ছিল, তা বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। পারিবারিক অশান্তির জেরে তিনি আত্মহত্যা করছেন। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, মানু ধনী আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন।