আজ অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রতি বছর এই দিনটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়ে থাকে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনে। এই উপলক্ষ্যে সোমবার সকালে কলকাতার ৯, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরণিতে অবস্থিত মিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। এরপর পাক সার্কাস ৭ পয়েন্ট ক্রসিং সংলগ্ন বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্যকেন্দ্রের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরি বের হয়। সেটি এ জে সি বোস রোড ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা ধরে শেষ হয় মিশন প্রাঙ্গণে। এরপর শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উপ হাই কমিশনার তৌফিক হাসান, প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন সহ মিশনের কর্মকর্তারা।
এই দিনটি নিয়ে তৌফিক হাসান জানান "ভাষা শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস উপলক্ষ্যে ভাষা শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমরা খুবই আনন্দিত যে ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে থেকে একে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এবং সারা বিশ্বে দিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হচ্ছে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মাধ্যমে আজকের দিনটি সূচনা হয়। "
অন্যদিকে প্রতিবারের মতো এবারেও কলকাতায় রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাস, ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে। এছাড়া রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন সংগঠন, ক্লাবের তরফেও যথাযথ মর্যাদার সাথে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে।
সোমবার বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ এবং অন্য ভবনের ছাত্রছাত্রী এবং সমস্ত স্তরের কর্মীরা একত্রিত হয়ে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান পালন করার উদ্যোগ নেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ইন্টারন্যাশনাল বয়েজ হোস্টেলের সামনে প্রভাত ফেরি শুরু হয় এবং তা বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনে শেষ হয়। বাংলাদেশ ভবনের ভিতরে একটি অস্থায়ী শহিদ বেদি তৈরি করা হয়েছে। যে শহিদ বেদিতে মাল্যদান এবং পুষ্পার্ঘ্যর মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন টুইট করে সমস্ত ভাষা শহিদ ভাইদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। টুইট করে তিনি লেখেন, 'ভাষা মোদের ভালোবাসা, সবাইকে নিয়ে বাঁচার আশা।'
উল্লেখ্য, আজ বিকেলে দেশপ্রিয় পার্কে ভাষা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।