গ্রেফতারির প্রায় এক সপ্তাহের মাথায় সংবাদ মাধ্যমের সামনে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। হুইল চেয়ারে জোকা ইএসআইয়ে (Joka ESI) ঢোকার মুখে এই মন্তব্য করেন রাজ্যের সদ্যপ্রাক্তন এই মন্ত্রী। এদিকে, বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভা এবং তৃণমূলের (TMC) সব পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন বেহাল পশ্চিমের এই বিধায়ক। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে থাকা সব মন্ত্রক নিজের হাতে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। আগামী দিনে রাজ্য মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।পাশাপাশি দলের মহাসচিব-সহ জাগো বাংলার সম্পাদক পদ হারিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার ঠিক ২৪ ঘন্টার মধ্যে পার্থর এই অভিযোগ তাৎপর্যপূর্ণ।
এসএসসি (SSC) দুর্নীতিকাণ্ড যত এগচ্ছে, তদন্তে ততই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী-যোগের নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। অর্পিতা, মোনালিসার পর এবার পার্থর নতুন বান্ধবী যোগ এল ইডির হাতে। জরিনা খাতুন নামে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপিকা এখন ইডির নজরে বলে সুত্রের খবর। ইডির সূত্র অনুসারে, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা বিল পাশ করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন জরিনা। ইডির নজরে রয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল এডুকেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল।
ইডির সূত্র অনুসারে, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় নিজের ক্ষমতাকে একচ্ছত্র করতে ওই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন পার্থ। জরিনা খাতুনকে তুষ্ট করতে তিনি যে কলেজের অধ্যাপিকা, সেখানকার এনওসি না নিয়েই তাঁকে সোজা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি জরিনাকে পদ পাইয়ে দিতে পার্থবাবুর অনুরোধে রাজ্যের এক মন্ত্রীও উদ্যোগী হয়েছিলেন বলে ইডি কর্তারা জানতে পেরেছেন। নতুন শিক্ষা বিলের মাধ্যমে কি আরও ক্ষমতা ও ঘুরপথে অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়?