২৯ মার্চ, ২০২৪

Bowbazar: ফের সুড়ঙ্গ বিপর্যয়! ৫ মাস পর বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে ফাটল আতঙ্ক, ভোর থেকে গৃহহীন বহু
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-10-14 13:27:56   Share:   

দুর্গা পিতুরি লেনের পর মদন দত্ত লেন। পাঁচ মাস পর ফের বৌ বাজারে (Bowbazar) মেট্রোর কাজের জন্য একাধিক বাড়িতে ফাটল। শুক্রবার ভোররাতের এই ঘটনায় আতঙ্ক, হুড়োহুড়ি। হাতের সামনে যা ছিল, তা নিয়েই ভোর থেকে রাস্তায় মদন দত্ত লেনের বাসিন্দারা। অনেক বাড়িতে ফাটলের পাশাপাশি জল ঢুকতেও দেখা গিয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেট্রো কর্তৃপক্ষের (KMRCL) অনুমান, দুটি টানেলের কাজ চলাকালীন সুড়ঙ্গ দিয়ে জল বেরোনোয় এই সমস্যা। এখনও পর্যন্ত কয়েকটি দোকান-সহ অন্তত দশটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ২০১৯-২০২২, তিন বছরের মধ্যে ফাটল আতঙ্ক বারবার ঘুরেফিরে এসেছে বউ বাজারের বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট (BB Ganguly Street) সংলগ্ন এই এলাকায়। আর রাজনৈতিক স্বার্থে মেট্রোর রুট বদলকে কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধীরা। 


শুধু ফাটল বা সুড়ঙ্গের জল ঢোকা নয় ১৮৫/১ বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একাধিক প্রিন্টিং প্রেসের চাঙর ভেঙে পড়েছে। সেই দোকানগুলো পরিদর্শন করে নিরাপত্তার খাতিরে সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ঘটনার খবর পেয়ে মদন দত্ত লেনে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে, স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। প্রাথমিক ভাবে কয়েকজন স্থানীয় অবস্থান বিক্ষোভ করেন। তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? না জানা পর্যন্ত এলাকা ছাড়বেন না, এমন দাবি তুলতে থাকেন। পরে পুলিস, মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।


আপাতভাবে গৃহহীন মানুষগুলোকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের ধারে হোটেলগুলোয় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা এসে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পরিদর্শন করবেন। পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এমনটাই কেএমআরসিএল সূত্রে খবর। দু'সপ্তাহের মধ্যে এই ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে বলেও জানায় তাঁরা। স্থানীয়রা আবার গোটা ঘটনার জন্য মেট্রোর কাজকেই দুষেছেন। এক স্থানীয়ের বক্তব্য, 'এদিন সকালে তাঁদের বাড়ির সিঁড়ি এবং ঘর ফাটলের কারণে আলাদা হয়ে যায়। ফলে প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে হয়েছে।' অনেকে আবার এক কাপড়েই বেড়িয়েছেন বাড়ি থেকে।

এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে জানান, মেট্রো রেল লিখিত দিয়েছেন আমি এবং কলকাতা পুলিস যাঁদের নাম পাঠাবো, সেই মোতাবেক ক্ষতিপূরণ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'মেট্রোর সর্বোচ্চ স্তরের আধিকারিকরা এসে একটা সিদ্ধান্ত নিক। নয়তো এই জোড়াতাপ্পি কাজে স্থানীয় লোকেদের সমস্যা হচ্ছে। যে এলাকায় মূল সমস্যা ওখানে সব বাড়ি ভেঙে মেট্রো কাজ সম্পূর্ণ করে নতুন বাড়ি করে দিক। তারপর বর্গফুট বিচারে ক্ষতিগ্রস্তদের সেই বাড়িতে পুনর্বাসন দেওয়া হোক। আমরা যাদবপুরের বিশেষজ্ঞদের ডেকেছি ওরা আজ নয়তো কাল এসে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবে।' 


Follow us on :