রাতভর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে লুকিয়ে থাকার ঘটনায় ধৃত হাফিজুল মোল্লাকে জেরা করে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিস। সোমবার ফের আলিপুর আদালতে তোলা হলে, তাঁকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে, পুলিস হেফাজতে থাকা হাফিজুলকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে, ৭ থেকে ৮ বার রেইকি করেছিল হাফিজুল। এমনকি, এলাকার বাচ্চাদের চকোলেট-কোল্ড ড্রিঙ্কস খাইয়ে তথ্য সংগ্রহ করত সে। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া থেকেই সেই তথ্য সংগ্রহ করেছিল হাফিজুল। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির একাধিক ছবি তুলেছিল সে। জানা গিয়েছে, ১১টি সিমকার্ড ছিল হাফিজুলের। বাংলাদেশে, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে ফোন করেছিল অভিযুক্ত। তবে হাফিজুলের বিরুদ্ধে ১২০বি ধারা তুলে নিয়েছে পুলিস। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির আশেপাশে ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপ করা হয়েছে। তবে সেই ছবি কাকে পাঠিয়েছিল সে, এখনও জানতে পারেনি পুলিস।এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সিট গঠন করা হল। ওই ঘটনার তদন্ত করবে সিট-এর আট সদস্যের প্রতিনিধিদল। এতে রয়েছেন ডিসি ডিডি স্পেশাল, ডিসি এসটিএফ সহ গোয়েন্দা বিভাগ ও এসটিএফের অফিসাররা। এর নেতৃত্বে থাকবেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে দীর্ঘক্ষণ লুকিয়ে থাকার অভিযোগে গ্রেফতার যুবকের পরিচয় ও বাড়ির খোঁজ মিলেছে।মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে ঢুকে পড়েছিল ওই যুবক। তাকে পরেরদিন গ্রেফতার করে পুলিস। সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। এদিকে এলাকায় গিয়ে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার আষারিয়া নারায়ণপুর গ্রামের বছর ৩০ এর হাফিজুল মোল্লা পেশায় গাড়িচালক। গত সাতদিন আগে কলকাতায় কাপড় বোঝাই করে ভাড়া গাড়ি চালাতে গিয়েছিল। শনিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ঢুকে পড়ে সে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই যুবক কেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকেছিল?
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)