Share this link via
Or copy link
ভরা ভাদ্রেই কলকাতার আকাশে-বাতাসে আগমনীর সুর। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো থেকেই রাজ্যে শুরু দুর্গোৎসব (Durga Puja)। বুধবার নবান্নে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ইউনেস্কোর ধন্যবাদজ্ঞাপন মিছিল নির্ঘণ্ট মেনেই শুরু হয় জোড়াসাঁকো থেকে। তারপর কলুটোলা, বউবাজার, চাঁদনী চক, ধর্মতলা হয়ে সেই মিছিল পৌঁছবে রেড রোডে। যদিও বেলা একটার পর শুরু হওয়া বৃষ্টি, এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সাময়িক তাল কাটলেও বিপর্যয়কে মাথায় নিয়েই হাঁটা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রীর। যদিও দুটোর কিছু পরে বাগে আসে বৃষ্টি। এদিন মিছিলের শুরুতে স্বল্প বক্তৃতা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি সব ধর্ম, বর্ণকে নিয়ে এই মিছিলে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
যদিও এই মিছিলের সুর বুধবার নবান্নে বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি (CM Mamata) বলেন, 'দুর্গোৎসব এবার একমাস আগে শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ইউনেস্কোকে (Unesco) ধন্যবাদ দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করব। ক্লাব কমিটি-সহ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল হবে। বেলা ২টোর মধ্যে সকলকে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যাঁরা হাঁটতে ইচ্ছুক, জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির কাছে চলে আসুন। বিশ্ববন্দিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাটি ছুয়ে শুরু হবে মিছিল।'
মুখ্যমন্ত্রী জানান, সাতটি ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে হেঁটে মিছিল শেষ হবে রেড রোডে। যাঁরা হাঁটতে পারেন না, রেড রোডে তাঁদের জন্য বসার চেয়ার থাকবে। আলাদা করে কাউকে বলতে পারব না, সকলের জন্য রইল আমন্ত্রণ। দলমত নির্বিশেষে পায়ে পায়ে পা মেলাবেন, ঢাকের সঙ্গে, ধামসার সঙ্গে, শঙ্খের সঙ্গে, সর্বধর্ম, সর্ব বর্ণ, সর্ব জাতি সকলকে আমন্ত্রণ জানাব। কারণ ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
এদিকে এই পদযাত্রাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে লালবাজার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। সূত্রের খবর, শহরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের নেতৃত্ব দেন ২২ জন ডেপুটি কমিশনার, ৪০ জন অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার। প্রত্যেক জোনের নেতৃত্বে ডিসি পদমর্যাদার পুলিসকর্তা। তাঁদের সাহায্য করেন এসি-রা। গিরিশ পার্ক থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত ছিল ৫৫টি পুলিশ পিকেট। তিনটি কুইক রেসপন্স টিম, ন’টি পিসিআর ভ্যান, ১১টি হেভি রেডিও ফ্লায়িং স্কোয়াডস।
অপরদিকে, এই পদযাত্রার জন্য বৃহস্পতিবার গোটা দিন বন্ধ রেড রোড। পাশাপাশি যান নিয়ন্ত্রিত ছিল একাধিক রাস্তার। উত্তর কলকাতায় যেতে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণি, স্ট্র্যান্ড রোড ব্যবহার করা হয়েছে। স্ট্র্যান্ড রোডে বৃহস্পতিবার পার্কিং নেই।। দুপুর ১টা থেকে ৪টে পর্যন্ত বন্ধ ছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। হাওড়া যেতে হলে ধরতে হয়েছে স্ট্র্যান্ড রোড। শিয়ালদহগামী বাস এজেসি বোস রোড বা এপিসি রোড ধরেছে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিস সূত্রে খবর, পরিস্থিতি বুঝে ট্রাফিকের অভিমুখ ঘোরানো হয়েছে।