শিক্ষক নিয়োগ (Teachers Recruitment) দুর্নীতিতে এফআইআর সিবিআইয়ের (CBI FIR)। শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সমরজিৎ আচার্য-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪১৭, ৪৬৫, ৪৬৮, ৩৪ ধারায় এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই ধারাগুলির মধ্যে ৪৬৮ জামিন অযোগ্য ধারা। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি-সহ একাধিক অভিযোগে এফআইআর করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা গিয়েছে, এই এফআইআরে নাম আছে এসএসসি (SSC) উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, এসএসসি-র প্রোগ্রামার সমরজিৎ আচার্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার, এসএসসির প্রাক্তন সচিব অশোক সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের।
এদিকে, শুক্রবার ম্যারাথন জেরার পর শনিবার ফের সকাল এগারোটায় সিবিআইয়ের (CBI) তলব মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে (Paresh Adhikari)। নির্ধারিত সময়ের আগেই এদিন নিজাম প্যালেসে হাজির হন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, গতকাল দীর্ঘ সাড়ে ৯ ঘণ্টা সিবিআই জেরার মুখোমুখি হন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। অন্যদিকে গতকালই তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে শিক্ষকতার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এমনকী অঙ্কিতা অধিকারীর বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। গতকাল ম্যারাথন জেরা শেষে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পরেশ অধিকারী বের হন সিবিআই দফতর থেকে। কিন্তু তিনি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি।
সূত্রের খবর, কার মাধ্যমে হয়েছিল অঙ্কিতার নিয়োগ (recruitment) এর পিছনে কোন অদৃশ্য হাত ছিল? এনিয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। মূলত তিনি দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বাম জমানাতেও মন্ত্রী ছিলেন। সেক্ষেত্রে এত বড় অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে কেন তাঁর মনে প্রশ্ন এল না সেব্যাপারেও তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়।
সূত্র মারফত আরও জানা গেছে, তাঁর মেয়ের নাম মেধা তালিকার শেষের দিকে ছিল, এমনকি পার্সোনাল টেস্ট না দিয়েও চাকরিতে যোগ দিয়েছেন অঙ্কিতা, তাতে কোনও প্রভাবিত করার চেষ্টা করেননি তাহলে? কাকে সুপারিশ করেছিলেন তিনি। সেই সময় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে কি তিনি নিজে সুপারিশ করেছিলেন? তবে পরেশ অধিকারীর দাবি, তিনি স্কুল শিক্ষা দফতরে চাকরির জন্য সুপারিশ করেননি।