প্রাথমিক টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে সরালো হাইকোর্ট। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব সামলাবেন পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তীকে। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে সব নথি জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সশরীরে মানিক ভট্টাচার্যকে আদালত হাজিরা দিতে হবে। এদিন নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জমা দেওয়া নথি দিল্লির ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এমনকি, নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের একটি প্রশ্ন ভুল হওয়ায় দ্বিতীয় প্যানেল অবৈধ ঘোষণা করল আদালত।
এদিকে, এদিনের শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যারা ২০১৪-র প্রার্থী, তাঁরা ২০১৭-তে চাকরি পেয়েছে। সেই চাকরিপ্রাপকদের জেলাভিত্তিক তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। এমনকি চাকরি হারিয়েছেন কয়েকজন। এই আবহে জেলার প্রাথিক স্কুল সংসদ তথ্য সংগ্রহ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে জমা দিচ্ছে।
অপরদিকে, এদিনের শুনানিতে আদালতের নির্দেশ মত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২৭৮৭ জনের আবেদন পত্র জমা করতে পারলো না। এই ২৭৮৭ জনের আবেদন চেয়ে পাঠিয়েছে হাইকোর্ট। এই ২৭৮৭ জনের শুধুমাত্র রোল নাম্বার জমা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আর পর্ষদের এই ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কেন সেই নথি জমা দেওয়া যায়নি? এই প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী লক্ষী গুপ্ত,পর্ষদের আইনজীবী জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে এই মুহূর্তে ২৭৮৭ জনের আবেদন নেই। তবে শুধু আবেদনপত্র নয়।আদালতের নির্দেশে ২৭৩ জনের দ্বিতীয় নিয়োগের যে প্যানেল তৈরি হয়েছিল, সেই প্যানেলের সদস্যদের স্বাক্ষর-সহ অনুমোদন কাগজও জমা করতে পারেনি পর্ষদ। তবে ২৭৩ জনের নিয়োগ তালিকা থেকে
২৬৫ জনের তথ্য দিয়েছে বোর্ড। সেই তালিকা দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পর্ষদ যেটা আদালতকে দিচ্ছে, তা নিয়োগ তালিকা নয়। কোথায় বোর্ড সদস্যদের সই? কিছু প্রিন্ট আউট দেওয়া হচ্ছে আদালতকে।