বাগ কমিটির সব রিপোর্ট শুক্রবারের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাগ কমিটির অন্যতম সদস্য পারমিতা রায়কে এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এসএসসি মামলা সংক্রান্ত সব নথি সিবিআইকে হস্তান্তর করেনি বাগ কমিটি। হাইকোর্টকে এই বিষয়ে অবগত করতেই বাগ কমিটিকে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি নিয়োগে ঠিক কতটা অস্বচ্ছতা হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখতেই হাইকোর্টের নির্দেশে তৈরি হয়েছিল এই অনুসন্ধানকারী বাগ কমিটি। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের ভার এখন সিবিআইয়ের হাতে।
তাই তদন্তে অগ্রগতির স্বার্থে সিবিআইকে নথি সম্পূর্ণ হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আজ অন্তর্বর্তীকালীন কোনও স্থগিতাদেশ দিল না ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, মামলার পরবর্তী শুনানি গ্রহণ করা হবে ৩০ জুন। ওইদিন সবপক্ষকে তাদের যুক্তি সংক্ষিপ্ত আকারে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাত্ সিবিআই-ই তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।
এদিন প্রশ্নভুলের জন্য বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া নিয়েই পর্ষদের আইনজীবীকে নানা প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তবে সেসবের সন্তোষজনক উত্তর শোনা যায়নি।
'প্রশ্ন ভুল আছে, বিশেষজ্ঞ কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কিছু প্রার্থীকে বাড়তি ১ নম্বর দিলেন। আপনাদের কি উচিত ছিল না, কৃতকার্য এবং অকৃতকার্য নির্বিশেষে সবাইকে ১ নম্বর দেওয়া?' পর্ষদের আইনজীবীর উদ্দেশে বৃহস্পতিবার এমনই প্রশ্নবাণ ছুটে এল হাইকোর্টে। প্রশ্ন তুলল হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।
কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই এই প্রশ্ন ভুলের জন্য ১ নম্বর বাড়তি দেওয়া হল নির্দিষ্ট কয়েকজনকে। তার সুযোগ তো লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী পেল না! সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে তাহলে ভুল কোথায়? প্রশ্ন তোলে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।