পাঁচ জায়গায় ধর্ষণ-কাণ্ডে (Rape Cases) রাজ্যের থেকে রিপোর্ট এবং কেস ডায়েরি তলব কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট ও কেস ডায়েরি জমার নির্দেশ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের। ২২ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিনই রাজ্যকে জমা দিতে হবে রিপোর্ট-কেস ডায়রি (Case Diary)। পাশাপাশি নির্যাতিতা এবং তাঁদের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এই মামলায় এক আবেদনকারীর আইনজীবীর মন্তব্য, 'পাঁচ জায়গায় ধর্ষণ হয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় নির্যাতিতা আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে চেয়েছেন। ময়নাগুড়ির নির্যাতিতাকে প্রাণে মারার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়ছে। নেত্রার ধর্ষণের ঘটনায় একজন ৪৫ বছরের ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখানে নির্যাতিতা নাবালিকা, তদন্তভার রাজ্য পুলিশের হাতে। কিন্তু এখনও নির্যাতিতার গোপন জবাবন্দি হয়নি।'
শান্তিনিকেতন গণধর্ষণ প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, শান্তিনিকেতনেও নাবালিকা ধর্ষিতা। একটা স্কেচ করা হয়েছে, কিন্তু সেটা স্পষ্ট নয়। এক বন্ধুর সঙ্গে চড়কমেলা থেকে ফিরছিল, তখন তাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে। এখনও চার্জশিট হয়নি। এদিকে, নামখানার নির্যাতিতা এখনও আতঙ্কে ভুগছেন। তাঁকে হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত পরিবার। নির্যাতিতার মেডিক্যাল হলেও গোপন জবানবন্দি হয়নি। তদন্তে গতি নেই, হাইকোর্টকে জানিয়েছেন মামলাকারীদের আইনজীবী।
তিনি বলেন,'এক্ষেত্রে নির্যাতিতা নিজে অভিযোগ করেছে, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। জড়িত রয়েছে স্থানীয় শাসকদলের নেতারা। গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে এবং মেডিক্যালও হয়েছে। গ্রামের রাস্তায় রাতে আলো কম থাকে। সেই কারণে এই ধরনের অপরাধ করতে সুবিধা হয়। রাজ্যকে গ্রামের প্রতিটি রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা করার আবেদন রাখছি, পাশাপাশি আদালতের কাছে প্রতি ধর্ষণ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি।'
এদিনের শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, পাঁচ জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা কী ঘটেছে, আর সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট আদালতে জমা দিলাম। ময়নাগুড়ির ঘটনা ২৮ ফেব্রুয়ারি ঘটেছে। একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তার প্রাথমিকভাবে জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর হয়েছে। কিন্তু পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে দুই অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরেই মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।