করোনা উদ্বেগের মধ্য়েই সামনে আসছে ওযুধ নষ্টের খবর। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে রেমডিসিভির নষ্টের পর উঠে এল বেলেঘাটা আইডিতে ওষুধ নষ্টের খবর। নষ্ট হতে চলেছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ৪০০ এমজি এবং ফ্যাভিপিরাভির ২০০ এমজি ট্যাবলেট। জানা গিয়েছে, কয়েক মাসের মধ্যেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে এই ওষুধগুলি। ৪৬, ৫০০টি হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ৪০০ এমজি ট্যাবলেট, প্রতিটির মূল্য ১৩ টাকা। মেয়াদ উত্তীর্ণর তারিখ এই বছরের ৩১শে মার্চ। নষ্টের পথে ৪৭২০ টি ফ্যাভিপিরাভির ২০০ এমজি ট্যাবলেট। যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ১৩০ টাকা। এক্সপায়েরি ডেট সামনের ২৮শে ফেব্রুয়ারি।
প্রসঙ্গত, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে পড়ে থেকে নষ্ট হল লক্ষ লক্ষ টাকার রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন। স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে এই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য। মেয়াদ উত্তীর্ণ ইঞ্জেকশনের খবর সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়নি বলেই অভিযোগ। দ্রুত এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রাথমিক ভাবে করোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই রেমডেজিভির ইঞ্জেকশন ব্যবহার করার কথা বলা হলেও, পরে কোভিড চিকিৎসার প্রোটোকল থেকে তা বাদ দেওয়া হয়। সেই কারণেই ইঞ্জেকশনগুলি ব্যবহার করা হয়নি বলেই হাসপাতাল সূত্রের খবর। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া অভিযোগ পত্রে দেখা গেছে, ২০২১-এর জুন মাসে ৮৫০ টি রেমডেজিভির ইঞ্জেকশন কিনে দেওয়া হয়েছিল শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালকে। সেই সব ইঞ্জেকশনগুলি ওই বছরের এপ্রিল মাসে তৈরি। হিসেব মতো ২০২১-এর সেপ্টেম্বর মাসে ওই ইঞ্জেকশনগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপরও সেগুলি পড়ে রয়েছে হাসপাতালেই। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি রেমডেজিভির ইঞ্জেকশনের দাম ৯০০ টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় ৯ লক্ষ টাকার কাছাকাছি ইঞ্জেকশন নষ্টের অভিযোগ।
তবে শুক্রবার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চাহিদা না থাকায় হাসপাতালের স্টোরেই পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে ওষুধগুলি। ওষুধগুলি এক্সপায়ার হয়ে গেলে আর কোন ভাবে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। শম্ভুনাথ হাসপাতালে ওষুধ নষ্টের কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কারনেই হয়তো ওষুধ নষ্ট হওয়ার আগেই তা অন্য হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল।