ব্রেকিং নিউজ
Bangladeshi: পুলিসের জালে মাহফুজ ঘনিষ্ঠ আরও ৩
HomekolkataBangladeshi: পুলিসের জালে মাহফুজ ঘনিষ্ঠ আরও ৩
Post By : সিএন ওয়েবডেস্ক
Posted on :2021-12-16 11:43:56
মাহফুজ রহমান। গত তিনদিন ধরে বহু চর্চিত এই নাম। একদিকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। অন্যদিকে, তারচেয়েও ভয়ংকর হল, এই কুখ্যাত দুষ্কৃতী জাল পরিচয়পত্র, বিশেষ করে জাল পাসপোর্ট এবং ভিসা তৈরির চক্রের মূল পান্ডা। দল দল যুবককে কলকাতায় এনে ঘর ভাড়া করে রেখে তাদের জাল পরিচয়পত্র বানিয়ে বিদেশে পাঠানোই ছিল তার প্রধান অপকর্ম। উত্তরপ্রদেশ এবং কলকাতা পুলিসের যৌথ অভিযানে আনন্দপুর থানার অনতিদূরে গুলশান কলোনির একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। থানার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থেকে সে কীভাবে এই দুষ্কর্ম চালাত, সে প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে।
মাহফুজকে গ্রেফতার করার পরই এই চক্রের আরও অনেকেই পুলিসের জালে উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ সূত্র মারফত খবর পেয়ে পুলিস বুধবার বিকেলে হানা দেয় সিঁথির মণ্ডলপাড়ায়। সেখানে বছর পঞ্চাশের একজনকে গ্রেফতার করা হয় তার বাড়ি থেকে। অপরিচিত ব্যক্তিদের আধার কার্ড, ফাঁকা আধার কার্ড, এনরোলমেন্ট ফর্ম সহ বহু নথি উদ্ধার হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিস রাত ৮ টা নাগাদ হানা দেয় হাওড়ার একটি দোকানে। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় দুই যুবককে। এরা সকলেই মাহফুজের সহযোগী হিসাবে কাজ করত। এদের কাছ থেকেই মাহফুজ মোটা টাকার বিনিময়ে জাল কাগজপত্র সংগ্রহ করত বলে জানা গিয়েছে। পরে ধৃত দুজনের কাছ থেকে প্রচুর জাল নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন শাখার তরফে মাহফুজুরের সম্পর্কে জানানো হয় লালবাজারকে। এও জানানো হয়, কলকাতায় লুকিয়ে রয়েছে সে। তার পরেই অভিযুক্তের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থানের সূত্র ধরে গুলশন কলোনিতে যৌথ অভিযান চালায় উত্তরপ্রদেশ এটিএস এবং কলকাতা পুলিশের একটি দল। তদন্তকারীদের দাবি, একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত মাহফুজুর।
উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা এই মাহফুজ রহমান। ২০১০ সালে সে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করে। পশ্চিমবঙ্গে ওই সময় থেকেই ঘাঁটি গাড়ে এবং তার হাতে আসে জাল হিন্দু পরিচয়পত্র। ২০১৩ সালে এই জাল হিন্দু পাসপোর্ট নিয়ে মেহফুজ পাড়ি দেয় দুবাইতে। ওই বছরই ফের ফিরে আসে পশ্চিমবঙ্গে। তারপর থেকেই পাকাপাকিভাবে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস শুরু করে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে। তদন্তকারীদের অনুমান, মাহফুজের অবাধ যাতায়াত ছিল পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলা তো বটেই, ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তেও।