ব্যাঙ্কশাল আদালতে এসএসসি(ssc) নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি(hearing) শেষ। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বিচারক পার্থ-অর্পিতা দু'জনকেই দুই দিনের ইডি হেফাজত দিয়েছেন। আগামি ৫ অগাস্ট ফের হাজির করতে হবে এই দু'জনকে। এদিকে, বুধবারই পার্থ এবং অর্পিতার ১০ দিনের হেফাজত(custody) শেষ হয়েছে। ৩ আগস্ট তাঁদের আদালতে তোলার কথা ছিল। সেই মতো পার্থ-অর্পিতাকে সিজিও কমপ্লেক্স(cgo complex) থেকে নিয়ে আসা হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর ব্যাঙ্কশাল কোর্টে(Bankshal court) তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোেপাধ্যায়কে।
সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে শুনানির সময় পার্থের আইনজীবী জামিনের (bail) আবেদন করলেও অর্পিতার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি। তিনি ইডি(ED) হেফাজতের বিরোধিতা করেছেন এবং পুলিস হেফাজতের আবেদন করেছেন। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ৪ দিন ও অর্পিতাকে ৩ দিনের হেফাজতের আবেদন করে ইডি। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তুলনায় এদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহযোগিতা করেছেন বেশি। পাশাপাশি, এদিন ইডি আধিকারিকরা জানান, পার্থ -অর্পিতার যৌথ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। যাতে ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে দুজনের। ৪ টি ফ্ল্যাট, ও ৯টি দলিল(DEED) উদ্ধার হয়েছে।
অর্পিতার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে এদিন ইডির বিরুদ্ধে আদালতে জানান অর্পিতার আইনজীবী। অর্পিতার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে আর্জি জানান অর্পিতার আইনজীবীরা। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, একদিন দেখা করা যাবে। তবে ১৫ মিনিটের জন্য। ইডির উপস্থিতিতে এক জন আইনজীবী ১৫ মিনিট কথা বলার সুযোগ পাবেন। এই সওয়াল জবাবের পর ঘণ্টাখানেক রায়দান স্থগিত ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। অবশেষে এদিন সন্ধ্যায় ইডি হেফাজত বাড়ানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
তবে এদিন ষড়যন্ত্রের প্রশ্নে নীরব থাকেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ব্যাঙ্কশাল আদালতে পার্থ-অর্পিতাকে তোলা হলে, টাকা কার, প্রশ্নের উত্তরে বুধবার মুখে কুলুপ আঁটে তারা। কার্যত এদিন আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা। গত ২৩ জুলাই রাতে পার্থকে এবং ২৪ জুলাই অর্পিতাকে গ্রেফতার করে ইডি। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চলছে তাঁদের বিরুদ্ধে।