বেশ কয়েকদিন ধরেই কাঁচা সবজি সহ ভোজ্য তেল ও মুদিখানার সামগ্রীর দাম লাগাতার বৃদ্ধির ফলে চিন্তায় পড়েছিল আমজনতা। কথায় আছে, মাছে ভাতে বাঙালি। কিন্তু সেই মাছ কিনতেও বাধ সেধেছে মূল্যবৃদ্ধি। এবার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাজারে মাছের দামও। সকাল থেকে ক্রেতাদের দেখা নেই বললেই চলে। কোনও কোনও ক্রেতা কিনলেও তা বেশ কম পরিমাণেই। সামনেই জামাইষষ্ঠী। সেই সময় মাছের চাহিদা থাকে দ্বিগুণ। এরই মধ্যে মাছের জোগানও কম বলে জানান বিক্রেতারা।
পাতিপুকুর পাইকারি বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারি নিয়ম অনুসারে মাছে ডিম হয়ে গেলে মাছ ধরা বন্ধ করতে হয়। সেজন্য মাছের জোগান কম। সমুদ্র থেকে আসছে না পর্যাপ্ত মাছ। সামুদ্রিক মাছ ধরা শুরু হলেই আবার জোগান স্বাভাবিক হবে। প্রতি বছর এই সময় জোগান কম থাকে। তবে চিন্তার কারণ, সামনেই জামাইষষ্ঠী। ঝড়-বৃষ্টি না হওয়ায় লোকাল মাছের জোগানও কমে গিয়েছে। ফলে ক্ষতি হচ্ছে তাঁদের ব্যবসাতেও। এর উপর আবার পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি। বাজারে যা মাছ আসছে, সেগুলি স্টোরের মাছ। তাই স্বাভাবিকভাবেই দাম চড়া। এই কারণেই বাজারে ক্রেতার সংখ্যা নেই বললেই চলে।
সব মিলিয়ে অগ্নিমূল্য বাজারের ফলে টান পড়েছে বাঙালিদের হেঁশেলে।