অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukhopadhyay) ব্যক্তিগত গাড়িচালক (Driver) প্রণব ভট্টাচার্য (Pranab Bhattacharya) মুখ খুললেন। তিনি বললেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডায়মন্ড সিটি সাউথে মাঝেমধ্যেই আসতেন। পার্থদাকে অনেকবারই দেখেছি আসতে। আর পার্থদা আসা মানে আমার ডিউটি (Duty) অফ। উনি এলে আমি চলে আসতাম। পার্থদার ওখানেও গিয়েছি। তবে ম্যাডামকে নামিয়ে দিয়ে ফিরে আসতাম। কখনও গাড়ি নিয়ে, কখনও অটোতে।
তিনি বলেন, যে ঘরে টাকা রাখা থাকত, সেই ঘরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হত না। প্রণববাবু নিজেও জানতেন না যে, এত টাকা থাকত এই ঘরে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সাথে বেরোতেন, তখন কাউকে সাথে নেওয়া হত না। চারটি ব্র্যান্ডের গাড়ি তিন-চার মাস আগে পর্যন্ত প্রণববাবু দেখেছেন ডায়মন্ড সিটি সাউথে অর্পিতার আবাসনের গ্যারাজে। তবে তিন-চার মাস হয়ে গেল সেই গাড়িগুলি উধাও। শুধুমাত্র হোন্ডা সিটি গাড়িটি থাকত, যেটা তিনি চালাতেন। কোথায় গেল সেই গাড়িগুলি, এখনও পর্যন্ত তিনিও জানেন না। অর্পিতা তাঁকে নিয়ে ইচ্ছে নামের পার্লারে যেতেন। বাদবাকি জায়গায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হত না। ইডি আধিকারিকরা তাঁর মোবাইল রেখে দিয়েছেন। তবে পুজোর আগে কাজ চলে যাওয়ার কারণে প্রণববাবু অসুবিধার মুখে পড়েছেন।
এই বছরের জানুয়ারি থেকে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটবে, তা তিনি কোনওদিন ভাবতেও পারেননি। প্রণববাবু বলেন, আমি কাজের জন্য গিয়েছিলাম। জানতাম, কাজ করলে পয়সা পাবো। তাই কাজটা করতাম। ওদের কী হচ্ছে, তা আমি জানতাম না।
তিনি বলেন, আমার ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ, আমি তো কিছু করিনি। এখনও যদি ইডি কল করে, তাহলে আমি সঙ্গে সঙ্গে চলে যাব।