অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। সিবিআই তাঁকে তলব করেছিল দুদিন আগে। কিন্তু তারপর এলাকায় তাঁর হদিশ মিলছিল না। ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগেযাগ করা যায়নি। ফলে তিনি আদৌ সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দেবেন কি না, তা নিয়ে অনেকেই সংশয়ে ছিলেন। যদিও বুধবার সকালেই তিনি যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে গাড়িতে সোজা হাজির হয়ে যান সিবিআই সমপ্লেক্সে। সংবাদ মাধ্যম তাঁকে ছেঁকে ধরলেও তিনি কোনও কথাই বলেননি। সোজা ভিতরে ঢুকে যান।
উল্লেখ্য, বিজেপি কর্মী (Bjp Worker) অভিজিত্ সরকার খুনের (Abhijit Sarkar Murder) ঘটনায় সিবিআই জেকে পাঠিয়েছে তাঁকে এবং কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দারকে (Councillor Swapan Samaddar)। সিবিআই সূত্রে খবর, ১৮ মে এই দুজনকে সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠানো হয়।
২০২১ বিধানসভা ভোটের পর ২ মে বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুন হন। তারপরই অভিজিৎ সরকারের পরিবার সুবিচার পেতে উচ্চ আদালতের দারস্থ হয়। সিবিআই তদন্তের (CBI InVESTIGATION) আবেদন জানায় তারা। এরপর সেই তদন্তভার গিয়ে পড়ে সিবিআইয়ের উপর।
কিন্তু মৃত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের অভিযোগ, এক বছর কেটে যাওয়ার পরও যাঁদের নামে অভিযোগ, সেই বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল ও কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দারকে এখনও পর্যন্ত সিবিআই দফতরে ডাকা হয়নি বা তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি। সেই কারণেই গত ১৩ তারিখ শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সের গেটের সামনে আমরণ অনশনের ডাক দেন তিনি। এরপর বিশ্বজিৎ সরকারকে ১৬ মে অর্থাৎ আজ সিবিআই দফতরে আসতে বলা হয়। তাঁর কাছে বিধায়ক এবং কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে কী কী নথি এবং প্রমাণ রয়েছে, তা আনতে বলা হয়েছিল। সেইমতোই বিশ্বজিৎ সরকার সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে হাজির হন।
আর তারপরই তলব করা হয় বিধায়ক এবং কাউন্সিলরকে।