Share this link via
Or copy link
পুলিসের সামনেই ছোট পর্দার (TV Actress) জনপ্রিয় অভিনেত্রী নবনীতা দাসকে খুনের হুমকি (Murder Threat)। আর এই কাণ্ড শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা নয়, বরং অভিযুক্তপক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিস। নিমতা থানার (Nimta PS) এহেন ভূমিকায় সমালোচনা করে সরব অভিনেতা জিতু কামাল এবং তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী নবনীতা দাস। উস্তাদ রশিদ খানের পরিবার কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছে। সেই টানাপোড়েনে এবার ছোট পর্দার জনপ্রিয় দুই জিতু-নবনীতা একইভাবে পুলিসি হেনস্থার শিকার। এমন অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমের সামনে করেছেন ওই তারকা দম্পতি। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত নিমতা থানার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসা এক ভিডিওবার্তায় যেখানে রীতিমতো পুলিসি হেনস্থা এবং তাঁদের সঙ্গে হওয়া কাণ্ডের জন্য অভিনেত্রীকে কাঁদতেও দেখা গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল। জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে বিরাটি থেকে মাঝেরহাটি হয়ে গন্তব্যে যাওয়ার পথেই এই কাণ্ড।
ঠিক কী হয়েছে এদিন নিমতা মাঝেরহাটি মোড়ে, যার রেশ এসে পৌঁছয় নিমতা থানা অবধি। সংবাদ মাধ্যমকে নিগৃহীত অভিনেত্রী নবনীতা জানান, 'দুপুর দেড়টা নাগাদ মাঝেরহাটি মোড়ে ডান পাশ দিয়ে একটা পন্যবাহী গাড়ি ঢুকে জোরে আমাদের গাড়িকে মেরে চলে যায়। আমি ডান পাশে বসে ছিলাম এবং পণ্যবাহী গাড়িকে দাঁড়াতে বলি। কিন্তু আমাদের কথা না শুনে ও বেড়িয়ে যায়। তখন সিগনালে গিয়ে আমার ড্রাইভার গাড়িটাকে ধরে, কিন্তু পণ্যবাহী গাড়ির ড্রাইভার আমাদের ড্রাইভারকে প্রায় পিষে বেড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু আমাদের ড্রাইভার সামনে গিয়ে কাঁচে মারলে ওরা উলটে বলে ওদের কাঁচে দাগ পড়েছে।'
তাঁর অভিযোগ, 'এরপর আমি প্রস্তুত ছিলাম যে থানায় আসতে হবে। কিন্তু নিমতা থানার এক পুলিসকর্তা আমাদের থানায় আসতে বাধা দেয়। উলটে বলেন আপনার ড্রাইভার যদি মেরে থাকে তাহলে কিন্তু ওকে লকআপে নিয়ে যাব। উলটে আমাদের বলে ঘটনাস্থলেই যা কথাবার্তা বলে নিন। কিন্তু আমি ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে বলি থানায় গিয়ে জিডি করব। থানায় এসে আমাদের দু-আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। তারপর থানা বলে দু'পক্ষই একটা করে জিডি করুন। এই সময় থানার বাইরে চিৎকার শুনে বেড়িয়ে গিয়ে দেখি আমার ড্রাইভারকে ওই পণ্যবাহী গাড়ির চালক-সহ তাঁর বন্ধুরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমরা গিয়ে যখন বলি কী হচ্ছে, উলটে আমাকে বলছে মেরে রেখে দেব, এখানে দাদাগিরি হচ্ছে!'
অভিনেত্রী জানান, 'এই ঘটনার সময় দু'জন পুলিস গোটা ব্যাপারটা শোনে। ওদের সামনেই ওই পন্যবাহী গাড়ির চালক ও তাঁর বন্ধুরা বলছে, তোদের দেখে নেব, মেরে দেব একবার বেরো এখান থেকে। পুলিসকে আমি বলি যে আপনাদের সামনে এটা কী হচ্ছে। এখানেই এসব হচ্ছে, বাইরে গেলে কী হবে?' এখানেই থামেননি অভিনেত্রী, নিমতা থানার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে অভিনেত্রী জানান, 'প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে বসিয়ে রেখে আমাদের এফআইআর নেয় পুলিস। যদিও প্রথমে বলে আপনারা সাদা খাতায় সই করে যান, এফআইআর আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দেব।'
এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ অভিনেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘাতক পণ্যবাহী গাড়ির চালক-সহ ৪ জনের এফআইআর দায়ের করে পুলিস। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪,৫০৬,৩৪১-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি পণ্যবাহী গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক একজন, একজন পুলিসের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে, এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।