দক্ষিণেশ্বর মন্দির মানেই একটা ইতিহাস, এক অন্য আবেগ। এই পুণ্যভূমিতেই ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেব পরমহংস, মা সারদা, স্বামী বিবেকানন্দ, রানি রাসমণির পদচারণা ছিল। সেই দক্ষিণেশ্বর আজও টানে আপামর ভক্তকে। এখানেই আজ আলো-ধ্বনিতে শুরু হল অতীত যাপন।
কথা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে ফিরেই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন তিনি। লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শোয়ের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যা নামতেই মন্দির চত্বরে চোখের সামনে হাজির হবেন রানি রাসমণি, শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র বসু ও মাইকেল মধুসূদন দত্তের মতো ঐতিহাসিক চরিত্রেরা। আলোর খেলায় তাঁদের দেখার পাশাপাশি শোনা যাবে কথাও। মন্দিরের ১৬৭ তম প্রতিষ্ঠাবর্ষের শুভারম্ভে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির অছি পরিষদের উদ্যোগে ও কেএমডিএর মাধ্যমে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পাশাপাশি একটি মিউজিয়ামেরও উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রদর্শনশালায় দেখা যাবে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেব পরমহংস দেবের পরিধেয় ধুতি, ভবতারিণী মায়ের খড়্গ আর রানি রাসমণির শ্বেতপাথরের সিংহাসন। দক্ষিণেশ্বর কুঠিবাড়িতে প্রজ্ঞাতীর্থ গ্রন্থাগার লাগোয়া বড় ঘরটিতে হল এই সংগ্রহশালা। প্রতিদিন খোলা থাকবে এই সংগ্রহশালা। এর জন্য কোনও প্রবেশমূল্য লাগবে না। তবে দিনের ঠিক কোন সময় সংগ্রহশালা খোলা থাকবে, তা নির্দিষ্ট সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে অছি পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুজিত বসু সহ অন্যান্যরা। পাশাপাশি দক্ষিণেশ্বরের ইতিহাস ও ছবি সম্বলিত একটি বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।