গরম পড়তেই হাঁসফাঁস পরিস্থিতি বঙ্গবাসীর। বৃষ্টির তেমন আশা নেই কোথাও। তারমধ্যেই বেলা বাড়তেই অসহ্য গরম। আর এই গরমেই চাহিদা বাড়ে পাতিলেবুর। কিন্তু তাই বলে পাতিলেবু ২৫ জোড়া ? কী খাবে মানুষ? এই প্রশ্নই এখন সবার মনে।
চলছে চৈত্র মাসের পুজো, সঙ্গেই নবরাত্রি। তার উপর রমজান মাস। বলা যায় একেবারে ব্যস্ততম মাস এটি। এর মধ্যেই বেড়েছে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম। বেড়েছে সবজি ও ফলের দামও। এক লাফে আকাশ ছুঁয়েছে বহু সবজির দাম। আর যা কিনতেই রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তবে শুধু যে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছে এমন নয়, বিক্রেতাদেরও সবজি কিনতে ভাবতে হচ্ছে। এরমধ্যেই বিভিন্ন বাজারগুলিতে ইবি হানা দেয় গতকালই। তবুও দাম কোনওভাবেই কমছে না।
শনিবার দমদম বাজারের বিক্রেতারা জানান, করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষ এমনিতেই বাজারমুখী খুব কম হচ্ছেন। তারপর এই অগ্নিমূল্যের জেরে আরও বেচাকেনা হচ্ছে না। যেকোনও সবজির দাম বাড়াতে ভাবতে হচ্ছে সেটি তাঁরা বিক্রি করবেন কিনা। কারণ ক্রেতারা তো দাম শুনেই আর কেউ কিনছেন না। ফলে সমস্যায় রয়েছে তাঁরাও।
এদিন দমদম বাজারের সবজিমূল্য- দমদম বাজার প্রতি কেজিতে পিয়াজ ৪০ টাকা, আলু ২২ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁরস ৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, কুমড়ো ৩০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, কাঁচা আম ৪০ টাকা। অন্যদিকে ফলের দাম প্রতি কেজিতে আঙ্গুর ১০০ টাকা, পাকা পেপে ৫০ টাকা, আপেল ১১০ টাকা, তরমুজ ৩০-৪০ টাকা, আম ১০০ টাকা, মুসুম্বি ১০ টাকা পিস, কলা ৫০ টাকা ডজন।
অন্যদিকে যদুবাবু বাজারে বাজারমূল্য প্রতি কেজিতে পেঁপে ৫০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, বিট ৪০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, ঢেঁরস ৬০ টাকা, সিম ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, পাতিলেবু জোড়া ২৫ টাকা। পাশাপাশি ফলের দাম কেজিতে আপেল ১২০ টাকা, বেদনা ১৩০ টাকা, আঙ্গুর ১০০ টাকা, পাকা পেঁপে ৬০ টাকা, তরমুজ ৩০ টাকা, পাকা আম ১২০ টাকা, কলা ৬০ টাকা ডজন, মুসম্বি ১০০ টাকা ডজন।